গাজীপুরে পৃথক কাভার্ডভ্যান চাপায় গার্মেন্টস কর্মীসহ নিহত ২, আহত ১

আপডেট: জুলাই ১, ২০২১
0

গাজীপুর প্রতিনিধিঃ গাজীপুরে ডিউটি শেষে বাসায় ফেরার পথে পৃথক ঘটনায় গার্মেন্টস কর্মীসহ দুইজন নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ একটি কাভার্ডভ্যানসহ চালককে আটক করেছে। বৃহষ্পতিবার জিএমপি’র বাসন থানার ওসি মালেক খসরু খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

ওসি মালেক খসরু খান জানান, গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার সাইনবোর্ড এলাকায় প্রাণ আরএফএল কোম্পানির বিক্রয় কর্মী হিসেবে কাজ করতো গোলাম শাকুরুল ইসলাম শায়েল (২৭)। ময়মনসিংহের গৌরিপুর থানার হিম্মতনগর এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে শায়েল গাজীপুরের কোনাবাড়ি জরুন এলাকায় ভাড়া থাকতো। প্রতিদিনের মতো ডিউটি শেষে বৃহষ্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে বাইসাইকেল যোগে বাসায় ফিরছিল সে। পথে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাসন থানাধীন নাওজোর এলাকার বডি ফ্যাশন গার্মেন্টসের সামনে পৌছলে একটি কাভার্ডভ্যান তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় শায়েল।

এদিকে ডিউটি শেষে কারখানা থেকে বাসায় ফেরার পথে কাভার্ডভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী গার্মেন্টস কর্মী একজন নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ কাভার্ডভ্যানসহ চালককে আটক করেছে। বৃহষ্পতিবার জিএমপি’র সদর থানার এসআই মঞ্জু মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর এলাকাস্থিত রিগাডি টেক্সটাইল মিলে চাকুরি করেন মেহেদী হাসান মেরিন (৩০)। বুধবার রাতে ডিউটি শেষে সহকর্মী হুমায়ুন কবীরকে (২৪) সঙ্গে নিয়ে মোটর সাইকেলযোগে বাসায় ফিরছিলেন মেহেদী। পথে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সালনা এলাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পৌছলে পেছন থেকে ঢাকাগামী একটি কাভার্ডভ্যন মোটরসাইকেলটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এসময় মোটরসাইকেল থেকে সড়কে ছিটকে পড়েন মেহেদী ও হুমায়ূন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মেহেদীকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
নিহত মেহেদী হাসান মেরিন (৩০) গাজীপুর সিটি কপোর্রেশনের সদর থানাধীন পশ্চিম ভুরুলিয়া এলাকার শান্ত শেখের ছেলে এবং আহত হুমায়ুন কবীর (২৪) মহানগরীর পূবাইল থানাধীন হারবাইদ গ্রামের জিতু মিয়ার ছেলে। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার এবং চালকসহ কাভার্ডভ্যান আটক করে। আটক চালকের নাম সুমন (২২)। সে কিশোরগঞ্জ জেলা সদর থানার বিন্নারী এলাকার শাহাবুদ্দিনের ছেলে।
উভয় ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।