গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও ঈদবোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ ও অবরোধ, পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল

আপডেট: মে ২৫, ২০২২
0
ক্যাপশনঃ গাজীপুর ঃ কোনাবাড়িতে পোশাক শ্রমিক বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ। ###

গাজীপুর প্রতিনিধিঃ গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ এবং বন্ধ কারখানা খোলার দাবিতে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। এসময় তারা কারখানার পার্শ্ববর্তী ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে এবং ইটপাটকেল ছোড়ে। পুলিশ টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছঁুড়ে আন্দোলনরতদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বুধবার গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি এলাকার এনটিকেসি পোশাক কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।

আন্দোলনরত শ্রমিক ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি এলাকাস্থিত এনটিকেসি পোশাক কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের গত এপ্রিল মাসের বেতন ও ঈদবোনাস পরিশোধ না করেই ঈদুল ফিতরের আগে ২৮ এপ্রিল হঠাৎ কারখানা বন্ধ করে দেয়। ঈদের পর এপর্যন্ত কারখানাটি চালু এবং শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধ করা হয়নি। শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে এবং তাদের পাওনাদির জন্য প্রায় প্রতিদিন কারখানার গেইটে আসে। কিন্তু কাউকে না পেয়ে ফিরে যায়। পরবর্তীতে কারখানা কর্তৃপক্ষ একাধিকবার আশ্বাস দিয়ে তারিখ নির্ধারণ করলেও শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধ করে নি। সর্বশেষ বুধবার ছিল শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন (এপ্রিল মাস) ও ঈদ বোনাস পরিশোধের নির্ধারিত তারিখ। কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে এদিন সকালে শ্রমিকরা বন্ধ কারখানার ক্যাম্পাসে এসে অবস্থান নেয়। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর মালিক পক্ষের কাউকে না পেয়ে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। শ্রমিকরা তাদের পাওনা এপ্রিল মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ এবং বন্ধ কারখানা খোলার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে।

জিএমপি’র কোনাবাড়ি থানার ওসি আবু সিদ্দিক জানান, আন্দোলনরত শ্রমিকরা কর্তৃপক্ষের সাড়া না পেয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কারখানা থেকে বের হয়ে পার্শ্ববর্তী ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপর অবন্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এসময় শ্রমিকরা পার্শ্ববর্তী কয়েকটি কারখানা ও গাড়িকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়ে। এতে ওই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। মহাসড়কের উভয় দিকে যানবাহন আটকা পড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ সদস্যরা আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের কথা বলে অবরোধকারী শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়কের উপর থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এসময় শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে। এতে পুলিশের কয়েক সদস্য আহত হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং দুই রাউন্ড টিয়ারসেল ও তিন রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড ছঁুড়ে আন্দোলনরতদের ছত্রভঙ্গ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং মহাসড়কে পুনঃরায় যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

কারখানার জিএম বুলবুল আহমেদ জানান. মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে, আগামী ৫ জুন শ্রমিকদের পাওনা বেতন ও ঈদবোনাস পরিশোধ করা হবে।