গাজীপুরে মাদ্রাসা ছাত্রকে কুপিয়ে খুন, সৎমা আটক

আপডেট: মার্চ ৯, ২০২১
0

গাজীপুর সংবাদদাতাঃ গাজীপুরে পারিবারিক বিরোধের জেরে মাদ্রাসার ছাত্র এক কিশোরকে কুপিয়ে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার নিহতের লাশ পুলিশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের সৎমা জুলিয়া খাতুনকে (৩২) আটক করা হয়েছে।

নিহতের নাম বিপ্লব হোসেন (১৪)। সে গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামের আকন্দপাড়া এলাকার বাবুল হোসেনের ছেলে। বিপ্লব নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার বেলদী গ্রামের একটি মাদ্রাসার হেফজ শাখার ছাত্র ছিল। সে ২মাস পর ৩০ পারা হাফেজে কুরআন হয়ে ফারেগ হওয়ার কথাছিল।

জয়দেবপুর থানার ওসি মামুন আল রশিদ ও নিহতের স্বজনরা জানান, গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামের বাবুল হোসেন প্রায় ১৬/১৭ বছর আগে খাদিজা আক্তারকে প্রথম বিয়ে করেন। এ সংসারে আতিক ও বিপ্লব হোসেনের জন্ম হয়। ইতোমধ্যে বাবুলের সঙ্গে তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী জুলিয়া খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে প্রায় ১২ বছর আগে বাবুল জুলিয়াকে বিয়ে করেন । বাবুলের দ্বিতীয় সংসারে দুই কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। দুই স্ত্রীর মাঝে বনিবনা না হওয়ায় প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে পিরুজালী গ্রামের আকন্দপাড়ায় থাকেন বাবুল। তার দ্বিতীয় স্ত্রী এক মেয়েকে নিয়ে টাঙ্গাইলে থাকেন। গত শুক্রবার বিপ্লব মাদ্রাসা থেকে গাজীপুরের বাড়িতে বেড়াতে আসে। এদিকে বাবুলের দ্বিতীয় স্ত্রী জুলিয়াও সোমবার গাজীপুরের বাড়িতে আসেন। সোমবার সন্ধ্যার পর এশার নামাজ পড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে জুয়েল নিখোঁজ হয়। স্বজনরা বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান পায় নি। পরদিন মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পার্শ্ববর্তী বাঁশ ঝাড়ের নীচে সড়কের পাশে বিপ্লব হোসেনের লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। নিহতের গলা, বুক, মুখ ও কানের পাশেসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক বিরোধের জেরে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে লাশ সেখানে ফেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের সৎমা জুলিয়া খাতুনকে (৩২) আটক করা হয়েছে।
ঘটনায় বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।