গাজীপুর বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের গুলি বিএনপির ১৬৫ নেতাকর্মীর নামে মামলা

আপডেট: মার্চ ৩১, ২০২১
0

গাজীপুর সংবাদদাতাঃ গাজীপুরে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের গুলির ঘটনায় ১৬৫ বিএনপি নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) সদর থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক বায়েজিদ বাদী হয়ে ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত নামা আরো ১২০জনকে আসামী করে সোমবার রাতে মামলাটি দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় দুইজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।গ্রেফতারকৃতরা হলো ছাত্রদল নেতা সিহাব (২১) ও শামীম (২০)।

সোমবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠণের নেতা-কর্মীদের বিক্ষাভ মিছিলে পুলিশের গুলিতে অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবী করেছে মহানগর বিএনপি।

মহানগর বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার ও জেলা বিএনপির সেক্রেটারী কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের নির্বিচারে গুলি চালানো এবং উল্টো বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা দেয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা জানান, হেফাজতে ইসলাম তথা ইসলামী দলগুলোর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে আইন শৃংখলা বাহিনীর গুলি ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের হামলায় হতাহতের ঘটনায় বিএনপির দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গাজীপুর শহরে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয় সোমবার বিকেলে।

মহানগর বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক আব্দুস সালাম শামীমের নেতৃত্বে মিছিলটি শহরের আজিম উদ্দিন কলেজ এলাকা থেকে শুরু হয়ে রাজবাড়ী রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিল। মিছিলটি মাধব বাড়ির সামনে পৌছলে টহল পুলিশ গাড়ি থেকে নেমেই মিছিলে শর্টগানের গুলি ছঁুড়ে ও ব্যাপক লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবী করেছেন নগর বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক আব্দুস সালাম শামীম। তাদের মধ্যে মেট্রা সদর থানা ছাত্রদলের যুগ্ন আহ্বায়ক রাজু আহমেদ জয় (২৮), যুবদল নেতা সাইদুল মাহমুদ (৩২), মেট্রো সদর থানা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেড মাহবুব (৪৫), টঙ্গী পূর্ব থানা ছাত্রদলের যুগ্ন আহ্বায়ক রিফাত রশিদকে (২৩) গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ছাত্রদল নেতা রাজু গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

জিএমপি’র সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, সোমবার বিকালে বিক্ষোভকারীরা সেখানে জড়ো হয়ে গাড়ি ভাংচুর করতে থাকে। এসময় পুলিশ তাদের বাঁধা দিলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। একপর্যায়ে পুলিশ ৮ রাউন্ড সর্টগানের গুলি ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।