গৃহহীনদের জন ঘর ব্যবস্থা শেখ হাসিনার উদ্যোগ ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে -গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী

আপডেট: জুন ২০, ২০২১
0

ফুলপুর, ময়মনসিংহ, ২০ জুন, রবিবার:

গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি বলেছেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও যুগোপযোগী উদ্যোগ দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

ফুলপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ভূমি ও গৃহ প্রদান অনুষ্ঠানে ফুলপুর উপজেলা পরিষদ প্রান্তে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে তিনি একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর বিভিন্ন দল ও মতাদর্শের লোকজন রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন। কিন্তু তারা সকলেই নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত ছিলেন। তারা এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন, সাধারণ মানুষের অর্থে তারা বিত্ত-বৈভব গড়েছেন।
বিদেশে দেশের সম্পদ পাচার করে নিজেরা বিলাসী জীবন যাপন করেছেন।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজের জীবনের সুখ শান্তি বিসর্জন দিয়ে খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন। তৃণমূল জনগণের ভাগ্যের উন্নয়নে তিনি কাজ করে চলেছেন। ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ভূমি ও গৃহ প্রদানের মাধ্যমে পুনর্বাসন এ কার্যক্রমের একটি অংশ। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির অনন্য এই মাইলফলক ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

উল্লেখ্য যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে পরিচালিত আশ্রয়ন -২ প্রকল্প এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে সারাদেশে ৫৩ হাজার ৩৪০ টি পরিবারকে দ্বিতীয় পর্যায়ে ২ শতক করে খাস জমি এবং তাতে গৃহ নির্মাণ করে রবিবার গ্রহীতাদের কাছে বাড়ির চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়। ইতোপূর্বে প্রথম পর্যায়ে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ৭০ হাজারেরও বেশি পরিবারকে একইভাবে পুনর্বাসন করা হয়।

এর অংশ হিসেবে ফুলপুর উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৯৭জন এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে রবিবার ৩০ জনের মাঝে ২ শতক জমির কবুলিয়াত দলিল এবং উক্ত জমিতে নির্মিত ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ফুলপুর উপজেলার ৩০ জনের নিকট জমির দলিল চাবি হস্তান্তর করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি।

এ সময় গণভবন থেকে সকল জেলা ও উপজেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ফুলপুর উপজেলা প্রান্তে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সীতেশ চন্দ্র সরকার।
অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান, ফুলপুর পৌরসভার মেয়র, বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা এবং ফুলপুর আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।