চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে গত রোববার রাতে এক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই ছাত্রলীগ কর্মী-সমর্থক। তাদের কাছ থেকে ওই শিক্ষার্থীর মোবাইলসহ ৩টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে এবং ২টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
আজ শনিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-৭ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—চবির ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আজিম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নুরুল আক্তার ওরফে বাবু, হাটহাজারী সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মাসুদ রানা এবং
তাদের মধ্যে আজিম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী।
তিনি বলেন, ‘আজিম বগিভিত্তিক সংগঠন সিএফসি এবং বাবু ও শাওন বগিভিত্তিক সংগঠন ভিএক্সের কর্মী।’
র্যাব জানায়, ঘটনার সঙ্গে ৬ জন জড়িত। তার মধ্যে ৫ জন সরাসরি সেই শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন করেছে। ঘটনায় জড়িত বাকী ২ জন হলেন সাইফুল এবং মো. সাইফুল। তারা বহিরাগত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে থাকেন।
গ্রেপ্তার হওয়া বহিরাগতদের অনেক আত্মীয়-স্বজন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগে চাকরি করেন বলেও জানায় র্যাব।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ঘটনার সময় শাওন ও সাইফুল প্রথমে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে দেখতে পায়। পরে তারা কল দিয়ে অন্যদের ডেকে নেন। বাকিরা এসে সেই শিক্ষার্থী ও তার বন্ধুর কাছে চাঁদা দাবি করেন। পরে তারা ভুক্তভোগীর বন্ধুকে আটকে রেখে ৩টি মোবাইলে যৌন নিপীড়নের ভিডিও ধারণ করেন। তাদের মধ্যে একটি মোবাইল আজিমের এবং অপর ২টি সেই শিক্ষার্থী ও তার বন্ধুর।
গতকাল রাতে প্রথম রাউজানের ফুফুর বাসা থেকে আজিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তার তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন জায়গা থেকে বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
