চরফ্যাশনে জমে উঠেছে পশুর হাট

আপডেট: জুলাই ১৭, ২০২১
0

মোঃ সিরাজুল ইসলাম ,চরফ্যাশন :

পবিত্র ঈদুল আযহা কে সামনে রেখে চরফ্যাশনে বিভিন্ন হাট বাজারগুলোতে জমে উঠেছে পশুর হাট। দূরদূরান্ত থেকে আসা লোকজন স্বাস্থ্য বিধি মানছে না। ক্রেতা-বিক্রেতারা মাস্কবিহীন অবস্থায় অবাধে পশু কেনাবেচা করছেন। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া বাজারের পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষ রয়েছে আতঙ্কের মাঝে। যদিও ইজারাদার এর পক্ষে বাজারে মাইকিং করে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পশুর হাট বসার ঘোষণা দিলেও বাস্তবে এর কোন মিল পাওয়া যায় নি।

গতকাল শনিবার চরফ্যাশন বাজারে বসেছে পশুর হাট। সকাল থেকেই হাজার হাজার মানুষের উপচে পড়া ভিড় জমে ওই বাজারে।

এছাড়াও দুলার হাট বাজারেও বসেছে পশুর হাট। সেখানে ছোট-বড় সব রকমের গরু ও ছাগল উঠেছে। সেখান থেকে কেউ কেউ তাদের পছন্দ অনুযায়ী গরু-ছাগল কিনে নিয়ে যাচ্ছে আবার কেউবা বাজারের দাম পর্যবেক্ষণ করার জন্য এসেছেন। বেশ কিছু গরু ক্রয়-বিক্রয় করতে দেখা গেছে।

পশু ক্রয় করতে আসা একাধিক লোকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দাম কিছুটা বেশি হলেও তা ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। সবাই যার যার সাধ্যের মধ্যে পশু ক্রয় করার চেষ্টা করছেন। কোরবানীর ঈদ যতই ঘনিয়ে আসবে, ততই পশুর হাট জম-জমাট হবে এমনটাই মনে করছেন পশুর হাট বাজার কমিটির লোকজন।
গরু ক্রয় করতে আসা নুরুল ইসলাম নামে বৃদ্ধ বয়সী লোকটির সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, এবার গরুর দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আছে। আমরা ৭ জন মিলে ৪৭ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু ক্রয় করেছি৷
গরু ব্যবসায়ী আবদুল মান্নান বলেন, প্রথমে ক্রেতারা গরু কম কিনলেও কোরবানির ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ততই ক্রেতাদের গরু ক্রয় করার চাহিদা বেড়েই চলছে। গরুর দামও এবার অন্যান্য বছরের চেয়েও কিছুটা কম।
দুলার হাট বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ রিপন পন্ডিত বলেন, আমরা বাজারে আসা লোকজন কে করোনায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য মাইকিং করেছি। যারা স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
দুলারহাট, হাজির হাট, চৌমুহনী বাজার, আনঞ্জুর হাট, লেতরা, চেয়ারম্যান বাজার, ঘোষের হাটসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, স্বাস্থ্য বিধি না মেনে চলার নাজুক চিত্র। এভাবে চলতে থাকলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সচেতন মহল।
দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় সরকার প্রথমে সারাদেশে ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণা করে। পরে সময় বর্ধিত করে ১৪ জুলাই পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। ১৪ জুলাই লকডাউন শেষে সরকার লকডাউন শিথিল করলে সারাদেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করা শুরু হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান রাহুল বলেন, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। স্বাস্থ্য বিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও আর্থিক জরিমানা।