চরফ্যাশন(ভোলা) প্রতিনিধি
মাদ্রাসা পড়ুয়া ৭ম শ্রেণির ছাত্রী দীর্ঘদিন যাবৎ ইভটিজিং এর স্বীকার হয়ে আসছিলো বখাটে কিশোর গ্যাং সেলিম(২২) ও তার সঙ্গীদের দ্বারা। করোনা কালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টায় প্রায় দের ঘন্টা মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করেন। চিৎকার শুনে মা আসলে তাকেও মারধর করে বখাটেরা। এঘটনায় চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর বিচারের দাবিতে শনিবার অভিযোগ করে ভুক্তভোগী পরিবার।
অভিযোগে উল্লেখ, দীর্ঘদিন ধরে কু-প্র্রস্তাব দিয়ে আসছিলো মাদ্রাজ ইউনিয়নের হামিদপুরের বাদশাহ’র ছেলে সেলিম ও তার সঙ্গীরা। রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে। বুধবার গোসল করতে পুকুরে গেলে হঠাৎ এসে পানিতে দস্তাদস্তি করেন। জোরপূর্বক প্রথমে ধর্ষন করতে ব্যর্থ হয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে সেলিম(২২) ও তার সঙ্গী রিয়াজ(১৯), রিপন(২৩)। প্রায় ৩০ মিনিট দস্তাদস্তি করে শারিরীক নির্যাতন।
পরবর্তীতে মা এসে বাঁধা দিলে মাকেও মারধর করে। গত ২০ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে ভোলার চরফ্যাশনের মাদ্রাজ ইউনিয়নের হামিদপুর ৪নং ওয়ার্ডে ভুক্তভোগীর নিজ বাড়িতে এঘটনা ঘটে। এমনটাই জানিয়েছেন ভুক্তভোগী হামিদপুর হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তবে ভুক্তভোগী মেয়ের মা-বাবা এবং খালা নাহার(৩৫)শারিরীক সম্পর্কে বিষয়টি এড়িয়ে মারধর করেছেন বলে জানিয়েছে।
অভিযুক্ত সেলিমের সাথে কথা বলতে ব্যার্থ হয়ে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, এই বিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগ এসেছে আমি দেখতেছি।