চরফ্যাশন সাড়ে ৩হাজার করোনার টিকা ২য় ডোজ থেকে বঞ্চিত

আপডেট: জুন ১৮, ২০২১
0

মো, সিরাজুল ইসলাম চরফ্যাশন(ভোলা) :
চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার ৪হাজার ভ্যাকসিন ফিরত দেয়া হয়েছে। প্রথম ডোজ ৮হাজার ৬শ‘জনকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়। ২য় ডোজ ৫হাজার জনকে পুঁশ করার পর ভ্যাকসিন শেষ হয়ে যায়। এতে ৩হাজার ৬শ‘ জন ২য় ডোজ টীকা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চরফ্যাশন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০শর্য্যা থেকে ১শ উন্নিত করা হয়েছে। কিন্ত কার্যক্রম চলছে ৫০ শর্য্যর। ১শ‘ শর্য্যার ভবনে মার্চ/২০২০সালে কার্যক্রম পরিচালনা করে চলছেন। করোনা কালিন সময়ের বরাদ্দ থেকে ৩লাখ টাকা সরকারি খাতে ফিরত দেয়া হয়েছে। মোট ৮হাজার ৬শ‘ জনে প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন পুঁশ করেছেন। তার মধ্যে ২হাজার জনকে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে রেজিষ্টেশন ছাড়াই ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। চরফ্যাশন পৌর সভা ৪নং ওয়াডের ইয়াছিন বলেন, আমার পরিবারের ৬জনকে রেজিষ্টেশন ছাড়াই করোনার টীকা দেয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা দাবী, রেজিষ্টেশন বিহীন ভ্যাকসিন গ্রহণ কারিদের রেজিষ্টশনের জন্যে স্বাস্থ্য বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে। সেখান থেকে রেজিষ্টেশন হবে বলে জানান। করোনার জন্যে চরফ্যাশন স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে আইসোলেশনের ব্যবস্থা রয়েছে। তার জন্যে খাবার, হোটেল কোয়ারেন্টাইন, পরিরস্কার পরিছন্নতা, উন্নত চিকিৎসার জন্যে প্রেরণ খরচ বাবত বরাদ্দ রয়েছে। কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে তার হিসাব স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে নেই। তা ডিজি বরাবর রয়েছে বলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান। এই সকল সেক্টরে করোনা রোগি না থাকায় বা ভর্তি না হওয়ায় সরকারি খাতে ওই বরাদ্দ থেকে ৩লাখ টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। ১৯টি অক্সিজেন স্যালেন্ডার রয়েছে। এ ছাড়াও চরফ্যাশন পৌর মেয়র মো. মোরশেদ পৌরবাসীর জন্যে আলাদা আরো ৮টি অক্সিজেন স্যালেন্ডার সংরক্ষিত রেখেছেন পৌর কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ৫০শয্যা হাসপাতালে সীট ৫০টি থাকলেও ৮০জন রোগি ভর্তি রয়েছে। তার মধ্যে ২৫জন পরুষ ও ৫৫জন নারী রয়েছে। ৫০ রোগি বেডে থাকলেও ৩০জন নারী পুরুষ রয়েছে হাসপাতালের বারেন্দায়। ভোলা-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের একান্ত প্রচেষ্টায় ২০১৮সালের মার্চে তৎকালীন স্বাস্থ্য মন্ত্রী মো. নাসিম ১শ‘ শয্যার হাসপাতালের ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কাজ সম্পন্ন হয়েছে ২০২০সালের মার্চে।

এদিকে সরকারি নীতি মালায় রয়েছে। হাসপাতালে চতুর দিকে ২শ‘ গজের মধ্যে কোন ডায়গনষ্টিক সেন্টার বা অন্যকোন চিকিৎসা বিষয়ক কোন প্রতিষ্ঠান থাকতে পারবেনা। দেখা যায়, হাসপাতালের বাউন্ডারী ওয়ালের সাথেই সেবা হাসপাতাল এন্ড ডায়গনষ্টিক সেন্টার রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নাকের ডগায় এই প্রতিষ্ঠান থাকলেও কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
এওয়াজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কামাল পাটওয়ারী বলেন, আমি করোনার ২য় ডোজ টীকা দিতে রবিবারে হাসপাতালে গিয়েছিলাম গিয়ে দেখি টীকা শেষ হয়ে গেছে। আমাদের টীকা নির্দ্দিষ্ট সময়ের মধ্যে না দিলে কোন সমস্যা হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তর কেই দিতে পারেনি।
চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শোভন বসাক বলেন, বরাদ্দের বিষয়টি আমি বলতে পারবনা। ডিজির কাছে পাওয়া যাবে। তবে ৩লাখ টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। করোনার প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন ৫হাজার মানুষ পেয়ে বাকী ৩হাজার ৬শ‘ জনের শেষ তারিখ ২০ মে বৃহম্পতিবার ছিল। নির্ধারিত সময়ে করোনার ভ্যাকসিন না দিলে কোন সমস্যা হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটি মন্ত্রলনায় নির্দেশনা দিবেন।
মো, সিরাজুল ইসরাম
চরফ্যাশন(ভোলা)প্রতিনিধি