চলচ্চিত্র রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনের অন্যতম হাতিয়ার- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

আপডেট: জুন ৪, ২০২২
0

ঢাকা (০৩ জুন, ২০২২ খ্রি.):

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, চলচ্চিত্র জীবনের কথা বলে। চলচ্চিত্র সমাজ, স্বাধীনতা ও মুক্তির কথা বলে। চলচ্চিত্র কিংবা প্রামাণ্যচিত্র দেখে একটি দেশ ও এর সংস্কৃতি সম্পর্কে খুব সহজেই ধারণা পাওয়া যায়। চলচ্চিত্র একটি সমাজের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। সেই সময় চলচ্চিত্রকেই তাঁরা রাজনৈতিক আন্দোলনের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন এবং সার্থক হয়েছিলেন। কাজেই চলচ্চিত্র রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনের অন্যতম হাতিয়ার।

প্রতিমন্ত্রী আজ রাতে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ‘৩ মিনিটের চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা ও উৎসব ২০২২’ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

পুরস্কার প্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান অতিথি বলেন, পুরস্কার প্রাপ্তি চলচ্চিত্র মূল্যায়নের প্রধান মানদণ্ড নয়। এটা অনেকটা ভাগ্যের বিষয়। যাদের ভাগ্য সহায় হয়, তারা পুরস্কার অর্জন করেন।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ‘৩ মিনিটের চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা ও উৎসব ২০২২’ এর জুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা মানজারেহাসীন মুরাদ ও বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ। স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব মো. আছাদুজ্জামান।

‘৩ মিনিটের চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা ও উৎসব ২০২২’ -এ মোট ৬৪টি চলচ্চিত্র অংশগ্রহণ করে। চলচ্চিত্র নির্মাতা মানজারেহাসীন মুরাদ ছাড়াও জুরি বোর্ডের সদস্য হিসেবে ছিলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা জাহিদুর রহিম অঞ্জন ও আকরাম খান। জুরি বোর্ডের সদস্য-সচিব হিসেবে কাজ করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক আফসানা করিম (আফসানা মিমি)। জুরি বোর্ডের উপদেষ্টা ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

প্রতিযোগিতায় ৩টি বিভাগে ১৩টি চলচ্চিত্রকে পুরস্কৃত করা হয়। শিশু বিভাগে (অনূর্ধ্ব ১৮ বছর) ৩টি, যুব বিভাগে (১৮-২৫ বছর) ৫টি ও উন্মুক্ত বিভাগে (২৫ বছর তদূর্ধ্ব) এসব পুরস্কার প্রদান করা হয়। যুব ও উন্মুক্ত বিভাগে ১ম, ২য় ও ৩য় পুরস্কার ছাড়াও ২টি করে জুরি পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রতিটি বিভাগে ১ম, ২য় ও ৩য় পুরস্কার হিসেবে যথাক্রমে ৫০ হাজার টাকার চেক, ৪০ হাজার টাকার চেক ও ৩০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। জুরি পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয় ২০ হাজার টাকার চেক। প্রতিটি পুরস্কারের সঙ্গে একটি ক্রেস্ট ও একটি সনদপত্রও প্রদান করা হয়।

উন্মুক্ত বিভাগে যথাক্রমে হিসাব বিজ্ঞান চলচ্চিত্রের জন্য মনির হোসাইন ১ম পুরস্কার, এক্সপিডিশন টু হ্যাপিনেস চলচ্চিত্রের জন্য জায়েদ সিদ্দিকী ২য় পুরস্কার, গায়েব চলচ্চিত্রের জন্য আবিদ মল্লিক ৩য় পুরস্কার এবং ললাট চলচ্চিত্রের জন্য পুলক রাজা ও রকি- দ্য সী কিড চলচ্চিত্রের জন্য জগন্ময় পাল জুরি পুরস্কার লাভ করেন।

যুব বিভাগে যথাক্রমে কপোতাক্ষের গান চলচ্চিত্রের জন্য সুব্রত কুমার মুন্ডা ১ম পুরস্কার, কালাচোর চলচ্চিত্রের জন্য শরিফুল আবির ২য় পুরস্কার, এ ফোবিয়া চলচ্চিত্রের জন্য প্রাণ কৃষ্ণ ভৌমিক ৩য় পুরস্কার এবং কেইস ১৯১১৯ চলচ্চিত্রের জন্য নাশিবা সামারাত ও অমৃতের পুত্র চলচ্চিত্রের জন্য কনোজ কান্তি রায় জুরি পুরস্কার লাভ করেন।

শিশু বিভাগে যথাক্রমে হেল্প চলচ্চিত্রের জন্য সৈয়দা আবরার তোয়াহা দ্রাহা ১ম পুরস্কার, রিক্ত চলচ্চিত্রের জন্য অপরাজিতা পারিন ২য় পুরস্কার ও কেউ দায়ী নয় চলচ্চিত্রের জন্য মো. ফারহানুর ইশতিয়াক ৩য় পুরস্কার লাভ করেন।