‘চাঁদা না দেয়ায় ধর্ষিত হন ওই পর্যটক’

আপডেট: ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
0

চাঁদা দিতে অস্বীকার যাওয়ায় কক্সবাজারে ধর্ষণের শিকার হন ওই নারী পর্যটক। পরে ওই নারীকে জিম্মি করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণও দাবি করেন আশিকুল ইসলাম ও তার চক্রটি। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) কাওরান বাজার মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।

রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে মাদারীপুরের মোস্তাফাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে মূলহোতা আশিকুলকে গ্রেফতার করা হয়।

মঈন বলেন, গত ২২ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজারে গণধর্ষণের শিকার হন এক নারী। ওই ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব জানায়, ভিকটিম ও তার স্বামীর সঙ্গে তাদের ৮ মাস বয়সী একটি শিশু সন্তান রয়েছে। শিশুটি জন্মগতভাবে হার্টে ছিদ্র থাকায় তার চিকিৎসায় ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন। শিশুটির চিকিৎসার অর্থ সংকুলানের আশায় স্বামীসহ কক্সবাজারে অবস্থান করছিল পরিবারটি। তারা বিত্তবান পর্যটকদের নিকট হতে অর্থ সাহায্য চাইতেন।

আশিকুলের সঙ্গে ওই নারীর ধর্ষণ হওয়ার আগের দিন পরিচয় হয়। তারা ওই পরিবারের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। ভিকটিম ও তার পরিবার চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে লাবণী বীচ এলাকার রাস্তা হতে ভিকটিমকে সিএনজিতে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ওখানে মো. আশিকুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা ভিকটিমকে ধর্ষণ ও জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে আটক রেখে স্বামীর কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।

ঘটনার দিনের বর্ণনায় র‌্যাব জানায়, অপহরণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী র‍্যাব-১৫ এর নিকট তার স্ত্রীকে উদ্ধারে সহায়তা চান। পরে র‍্যাব ভুক্তভোগীর স্বামীকে নিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় ও একপর্যায়ে ভুক্তভোগী উদ্ধার হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে জিম্মি করার সহযোগিতার অভিযোগে জিয়া গেস্ট হন হোটেলের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে ঢাকা থেকে পটুয়াখালী যাওয়ার পথে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে মাদারীপুরের মোস্তাফাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আশিকুল ধর্ষণ এবং চাঁদা দাবির বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

র‌্যাব আরও জানায়, আশিক কক্সবাজার পর্যটন এলাকার ৩০-৩৫ জন সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের মূল হোতা। সে ২০১২ সাল থেকে কক্সবাজার পর্যটক এলাকায় বিভিন্ন অপরাধের সাথে যুক্ত।