ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে : ছাত্রশিবির

আপডেট: জুলাই ১৬, ২০২৪
0

-সারাদেশে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শাপলা চত্তরে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক নূরুল ইসলামের নেতৃত্বে মিছিলটি শাপলা চত্তর থেকে শুরু হয়ে ইত্তেফাক মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক নূরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান আওয়ামী সরকার গণতন্ত্রকামী মানুষের যেকোনো আন্দোলনকে দমণ-পীড়ণের মাধ্যমে স্তব্ধ করে দেয়ার ঘৃণ্য পন্থা অবলম্বন করে আসছে। একই কায়দায় বৈষম্যমূলক কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে বানচাল করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লাঠিয়াল বাহিনী ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিয়েছে। ছাত্রলীগ তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নীরিহ ছাত্রদের রক্তাক্ত করেছে। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। রাতের আঁধারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। আমরা এ বর্বরচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা বলে দিতে চাই, ছাত্রলীগের সন্ত্রাস-দখলদারত্বের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগ দেশের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী সংগঠন। চাদাবাজ, ছিনতাই,ধর্ষন, খুন, মদক ব্যবসায়, মানুষের সম্পদ লুণ্ঠনসহ এমন কোনো মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড নেই যার সাথে ছাত্রলীগ জড়িত নয়। সকরারের কাছে উদাত্ত আহবান জানাই, অনতিবিলম্বে বিশেষ ট্রাবুনাল গঠন করে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যথায় সংগ্রামী ছাত্রজনতা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে এদেরকে এদেশ থেকে বিতাড়িত করবে।

তিনি বলেন, আমরা গতকাল দেখেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে মেধার চর্চা হয়, সেখানে মেধাবীদের রক্ত ঝরানো হয়েছে। সেখানে আমাদের বোনদের রক্ত ঝরানো হয়েছে। ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে মেধাবীদের রক্ত স্বাধীন বাংলাদেশে সৈরাচর কর্তৃক শাসনের প্রতিচ্ছবিমাত্র। এদেশের জনগণের ভোটাধিকাসহ মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। জনগণের সাংবিধানিক অধিকার চাইতে গেলেও রক্তাক্ত হতে হয়। ছাত্রশিবির হুশিয়ারী উচ্চারণ করে দিচ্ছে, ছাত্রলীগের গুন্ডারা, তোমরা লাগাম দাও, অন্যথায় বাংলাদেশের জনগণ এদেশে তোমাদের কবর রচনা করবে।

বিক্ষোভ মিছিলে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, প্রচার সম্পাদক সাদেক আব্দুল্লাহ, ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মহানগরের সভাপতি ও সেক্রেটারিবৃন্দসহ শাখা পর্যায়ের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি