ছেলে হত্যা মামলার রায় শুনে ‘সন্তুষ্টি’ প্রকাশ আবরারের বাবার

আপডেট: ডিসেম্বর ৮, ২০২১
0

বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনের যাবজ্জীবনের দণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের ঘোষিত রায়ে ‘আপাত সন্তুষ্টি’ প্রকাশ করেছেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ।

বুধবার দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো: কামরুজ্জামানের আদালত রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন প্রতিক্রিয়া দেন।

এ সময় আবরারের বাবা বলেন, ‘আমি আপাতত সন্তুষ্ট। তবে রায়টি যদি উচ্চ আদালতে বহাল থাকে এবং রায়টি কার্যকর হলে আমি সন্তুষ্ট হবো। এছাড়াও পলাতক বাকি তিনজন আসামিকে অতিদ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাই।’

এদিকে রায়ের পর্যবেক্ষণে ট্রাইব্যুনাল বলেন, শিবির সন্দেহে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে আবরারকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনা বাংলাদেশের সকল মানুষকে ব্যথিত করেছে। বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর কখনো না ঘটে, তা রোধকল্পে আসামিদের শাস্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো।

এদিকে আলোচিত এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে বলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল।

অপর দিকে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মেদ উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট না। এ মামলায় যারা মাস্টারমাইন্ড ছিল তাদের সামনে আনা হয়নি। অনেক সাক্ষীর বক্তব্য সেভাবে শোনা হয়নি। আমরা এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

উল্লেখ্য, ভারতের সাথে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নেন বুয়েট শাখা ‘ছাত্রলীগে’র কয়েকজন নেতাকর্মী। ওই দিনগত রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের লাশের ময়নাতদন্ত হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।