https://www.youtube.com/watch?v=RvoFxG9OoBY&feature=youtu.be
মহানগর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস এর আদালতে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের কারাবন্দী ২০ জন নেতা-কর্মীদের জামিনের শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্যে কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর। আসামীদের পক্ষে মামলা শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি এডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, এডভোকেট এমাদুল বশীর, এডভোকেট খাদেমুল ইসলাম।
গত ২৫ মাচ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমন উপলক্ষে ছাত্র অধিকার পরিষদের ৫৬ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে মতিঝিল থানায় ৪২(৩)২১ মামলা দিয়ে জজ মো লে পাঠায় । ইতিমধ্যে দীর্ঘ দিন জেল খেটে অনেকেই জামিন পেলেও আদালত উক্ত ২০ জনের বার বার জামিন নামঞ্জুর করে। তারা গত ৬ মাস থেকে জেলে।
তাই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন মুক্তিযোদ্ধা ও নাগরিক হিসাবে মামলার জামিনের শুনানীতে আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলতে চাইলে তাঁকে কথা বলার অনুমতি দেন। শুনানী শেষে আদালতের বাইরে আসলে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কাছে সাংবাদিক তাঁর কোটে দেওয়া বক্তব্য বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
“ছাত্র অধিকার পরিষদের বিচার কার্যক্রম আমার কোর্টে থাকার কথা ছিল এবং আমি ছিলাম। হ্যাঁ আমি কথা বলার সুযোগ পেয়েছি কারণ আমি সেখানে বসে ছিলাম। বিচারক বলেছিলেন আমি পার্টি কিনা। উনাদের একটা অভ্যাস ল’ইয়ার ছাড়া কাউকে কথা বলার সুযোগ দেয়না ।তবে আমি চাইছিলাম জজ সাহেবের কাছ যেন নাগরিক হিসেবে দুই মিনিট কথা বলার সুযোগ দেন।
জজ সাহেব প্রয়েলা বলার চেষ্টা করেছেন উনিতো পাটি না মানে কি? ছাত্রদের এতবড় ইয়ে আমি অবশ্যই পাটি।আমি একজন নাগরিক হিসেবে আমাকে ২ মিনিট কথা বলতে চাই। প্রথম কথাটা যেটা বললাম মাননীয় বিচারপতি এই ছাত্রদের কি অপরাধ? তারা তো আপনার কোর্টের ভিতরে কোন স্লোগান দেয়নি সেখানে আমি উপস্থিত ছিলাম । মাঠে ময়দানে তারা স্লোগান দিতেই পারে। এটা পুলিশের মিথ্যাচার- তাদের হাতে কোন লাঠি ছিল না অতএব তারা পুলিশের উপর কোন হামলা করতে পারে না । আজকে কথা বলা আমাদের নাগরিক অধিকার তারা সেটাই করেছে । তাই আপনি সবকিছু বিবেচনা করে দেখেন এদের কি বিচার হওয়া উচিত ।
দ্বিতীয় কথা – আপনাকে আমি ধন্যবাদ দিতে চাই মাননীয় বিচারক কারণ আপনাকে দেখে আমার বঙ্গবন্ধুর কথা মনে পড়ে যায় বঙ্গবন্ধুর যখন এই ধরনের কেইচে লোয়ার কোর্ট এ শাস্তি হতো তখন বঙ্গবন্ধু ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট এ যেতেন এবং বিচারক সাহেব তাকে বেল দিয়ে দিতেন এবং আপনারও আজকে সেটাই করা উচিত।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন,
“আইনের শাসনের সৃষ্টি করার চেষ্টা করছি, আমার কথা রাখতে পেরেছি।
বিচারকের দায়িত্ব আমায় কথা বলতে দেওয়া তিনি কথা বলতে দিয়েছেন এবং শুনেছেন, বাকী কি করবেন জানিনা”।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডা. ডা জাফরুল্লাহ বলেন, ” ছাত্ররা শ্লোগান দিয়েছে বা গালি দেয়ওয়ায় ৬ মাস জেলে থাকতে হবে? এটা কি বিচার, এ জাতীয় বিচার ব্যবস্থা জঙ্গীবাদ”।
এসময় পাশে থাকা আইনজীবী বলেন ২০ জনেরই জামিন মঞ্জুর করেছেন।