জনসমুদ্র শিমুলিয়া, ঢাকা-চট্টগ্রাম ১৭ কি.মি ,ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ৪০ কি.মি. দীর্ঘ যানজট

আপডেট: মে ১২, ২০২১
0

টানা তৃতীয়বারের মতো লকডাউন বাড়ানোর ঘোষনায় ঢাকা ছাড়ছে মানুষ।এদিকে অপরদিকে লকডাউন, মানুষ যে যেভাবে পারছে রাজধানী ছেড়ে চলে যাচ্ছে। দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়েছে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক । অপরদিকে বিগত দুই সপ্তাহের চিত্র ছাড়িয়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট। ঈদ যতো ঘনিয়ে আসছে ততোই ঘাটে ঘরমুখো যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। আর উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীদের ভোগান্তিতে ফেলেছে ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ৪০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে থেমে থেমে সৃষ্ট হওয়া যানজট।

গত কয়েকদিনের মতো আজও শিমুলিয়া ঘাটের প্রবেশ মুখে ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রায় ১ কিলোমিটার হেঁটে যাত্রীদের ঘাটে প্রবেশ করতে হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, যাত্রীদের চাপে বাংলাবাজার ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ফেরিগুলো থেকে যানবাহন ঠিকমতো নামাতে পারছি না। ফলে যানবাহন নামিয়ে ফেরি ছাড়তে দেরি হচ্ছে। ঘাটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ১৩-১৪টি ফেরি চলছে।

এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইল বাইপাস থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড় পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ট্রাক, পিকআপ ও মোটরসাইকেলে চলাচল করা ঘরমুখো মানুষ।সড়কের টাঙ্গাইল বাইপাস, এলেঙ্গা, সল্লাহ, হাতিয়া এলাকায় যানবাহনের সঙ্গে যাত্রীদের জটলা সৃষ্টি হয়েছে। ঘরমুখো এসব মানুষদের গুনতে হচ্ছে চার থেকে ৫ গুন বেশি ভাড়া।

এদিকে চন্দ্রা, গোড়াই, মির্জাপুর ও দেওহাটা এলাকায় যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ রয়েছে। যার অধিকাংশই উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার লোক।

এলেঙ্গাতে কয়েক যাত্রী জানান, গার্মেন্টস ছুটি হয়েছে। যত কষ্টই হোক আর ভাড়া যতই লাগুক বাড়িতে যেতেই হবে। কারণ পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ করার আনন্দই আলাদা।

অপরদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঈদকে সামনে রেখে তীব্র যানজট শুরু হয়েছে। এদিকে মেঘনা সেতুর টোল প্লাজা থেকে কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট রয়েছে।

আজ বুধবার (১২ মে) সকাল থেকে এ দৃশ্য দেখা যায় মহাসড়কে। দীর্ঘ যানজটের কারণে যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগ চরমে।

ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী প্রাইভেটকারের চালক কামাল বলেন, সকাল ৬টায় ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে চট্টগ্রাম দিকে রওনা দিয়েছি। পথে পথে শুধু যানজট আর যানজট। গণপরিবহন ছাড়াই মহাসড়কে এমন পরিস্থিতি।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আজ বুধবার (১২ মে) ভোর থেকে তীব্র যানজট শুরু হয়। মেঘনা সেতুর টোল প্লাজা থেকে কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট রয়েছে। দীর্ঘ যানজটে আটকে যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগ চরমে।

চট্টগ্রামের বাসিন্দা ইফতি বলেন, অফিস বন্ধ হয়েছে বুধবার। তাই আজ স্ত্রী ও ছয় মাসের মেয়েকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য ভোর পাঁচটায় রওনা হই। ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে বাসে উঠি। সায়েদাবাদ থেকে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা আসতে ৪ ঘণ্টা সময় লেগেছে।