ভূরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
জমি মাদ্রাসার নামে বিক্রি করলেন সুপার। এমন অভিযোগ উঠেছে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের মইদাম দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে। মাদ্রাসার নামীয় ২৯ শতক জমি নিজ নামে দেখিয়ে ৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বিক্রি, মাদ্রাসার তহবিল আত্নসাত ও কমিটি গঠনে অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এবং মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিষয়ক উপজেলা ষ্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মো: জালাল উদ্দিন মন্ডল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামানকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটি গত ২৫ আগষ্ট তারিখে সড়েজমিনে তদন্ত করছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও তদন্ত কমিটির প্রধান আসাদুজ্জামান।
অভিযোগকারী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন মন্ডল বলেন, শুধু জমি বিক্রি নয় তিনি মাদরাসার টাকা আত্মসাৎ ও কমিটি গঠনেও অনিয়ম করেছেন। শুধু তাই নয়, ওই সুপার জামায়াতে ইসলামের রোকন। তিনি জঙ্গি ও নাশকতা মামলায় জেল খেটে জামিনে আছেন। যার মামলা নং- জি. আর ৪৮/২০১৭।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো: মকবুল হোসেন মাদ্রাসার জমি বিক্রির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য পরিচালনা কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে জমি বিক্রয় করা হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে আনা টাকা আত্নসাত ও কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন। জামায়াত ইসলামীর বিষয়ে তিনি বলেন আগে জামায়াত করতাম এবং রোকনও ছিলাম। মাদ্রাসার সুপার হওয়ার পর থেকে এখন জামায়াতের রাজনীতি থেকে অনেক দুরে আছি।
তৎকালীন সময়ের মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য মৌলভী হাশমত আলী বলেন, ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ট মতের ভিত্তিতে জমি বিক্রি হয়েছে বলে আমি জানি।কিন্তুু অনেক দিনের ঘটনা তাই ওই রেজুলেশনে আমি স্বাক্ষর করেছি কিনা আমার মনে নেই।
তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, তদন্ত শেষ হয়েছে। করোনার কারনে প্রতিবেদন দিতে দেরি হয়েছে। তবে খুব শিঘ্রই প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মা বলেন তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্হা নেয়া হবে।
###
আমিনুর রহমান বাবু
