জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের বিবৃতি : ‘খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা দিন’

আপডেট: নভেম্বর ১৫, ২০২১
0

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী গুরুতর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে গিয়ে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ না দেয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)।

ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার রোববার (১৪ নভেম্বর ২০২১) এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। তারা তাকে বিদেশে উন্নত ও সুচিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছে না। বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করানোর জন্য তার পরিবার সরকারের কাছে একাধিকবার আবেদন করলেও সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। ফলে বর্তমানে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন খালেদা জিয়ার পরিবার ও দলের নেতাকর্মীরা।

তিনি বলেন, সরকার বার বার আইনের দোহাই দিয়ে বিএনরি চেয়ারপারসনকে বিদেশে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নিতে দিচ্ছে না। অথচ মানবতার কাছে আইন কোনো বিষয় নয়। আমরা সরকারের এহেন অগণতান্ত্রিক ও বেআইনী সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কেননা খালেদা জিয়া শুধু বিএনপির চেয়ারপারসন নন তিনি বাংলাদেশের তিন তিনবারের নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী। বর্তমান সরকার মহামারী করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বিষয়টি মানবিক দিক বিবেচনায় নিয়ে তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে পারতো। এ কথা মনে রাখতে হবে যে, বেগম খালেদা জিয়ার স্বামী বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এবং সেক্টর কমান্ডার ও সাবেক সেনাপ্রধান। বাংলাদেশের নারী শিক্ষা থেকে শুরু করে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তার হাত ধরেই। আজ তিনি গুরুতর অসুস্থ হলেও তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ না দেয়াটা সত্যিই বেদনাদায়ক, অমানবিক ও নজিরবিহীন ঘটনা।

জেডআরএফের বিবৃতিতে বলা হয়- বিশেষ বিবেচনায় অতীতে হিং¯্র খুনি থেকে কুখ্যাত মাস্তানদের পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পাওয়ার নজির রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রপ্রধান কর্তৃক ক্ষমা করার বিধান রয়েছে শুধু চরম মানবিক বিষয় বিবেচনার জন্য। যেমন স্কটল্যান্ডের লকারবিতে বিমান উড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদÐপ্রাপ্ত লিবিয়ার অপরাধী আবদেল মেগরাহিকে ২০০৯ সালে ক্ষমা করা হয়েছিল ক্যানসারের কারণে, তাঁর অবধারিত মৃত্যুর আগের শেষ দিনগুলো স্বজনের সঙ্গে কাটাতে দেওয়ার মানবিক দিক বিবেচনা করে।

শুধু তাই নয়, দÐ স্থগিত করে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানো নজিরবিহীন ঘটনা নয়। থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, পাকিস্তান সহ অনেক দেশে চিকিৎসার জন্য অনেক সাবেক রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের বেলায় এমনটি ঘটেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে ৭ বছরের সাজা হলেও লাহোর হাইকোর্ট তাকে জামিন ও সাজা স্থগিত করে বিদেশ ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।
এমতাবস্থায় আমরা সরকারের প্রতি আহŸান জানাবো- খালেদা জিয়ার প্রতি মানবিক হোন। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি তার ছোটো ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে হারিয়েছেন। তার বড় ছেলে দেশনায়ক তারেক রহমানও নির্বাসনে। তাকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও পরিকল্পিত এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় সাজা দিয়ে কারাবন্দি রাখা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি সরকার মানবিক দিক বিবেচনা করে খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিবে। তা না হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় সরকারকেই বহন করতে হবে।