জি-৭ সম্মেলন : চীনের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের জোট

আপডেট: জুন ১৩, ২০২১
0

উন্নত অবকাঠামো নির্মাণে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোকে সহায়তা করতে একটি পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে চীনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাওয়া শিল্পোন্নত সাত দেশের জোট জি-৭। বিশ্বজুড়ে বাড়তে থাকা চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) প্রভাব নিয়ন্ত্রণে শনিবার (১২ জুন) যুক্তরাজ্যের কর্নওয়ালে চলমান জি-৭ সম্মেলনে দেশগুলোর নেতারা এমন একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছান।

সেখানে আরও বলা হয়েছে, যার মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোর টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করবে ধনী দেশগুলোর এই জোট।

জি–৭ জোটের দেশগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান ও যুক্তরাজ্য।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, চীনের একক আধিপত্য ঠেকাতে জোট থেকে ঘোষিত ‘বিল্ড ব্যাক বেটার ওয়ার্ল্ড’ (বি৩ডব্লিউ) ইনিশিয়েটিভ নামের এই পরিকল্পনায় উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ২০৩৫ সালের মধ্যে ৪০ ট্রিলিয়ন ডলারের অবকাঠামো নির্মাণে সহায়তা করা হবে।বিভিন্ন দেশকে ট্রেন, সড়ক ও বন্দর নির্মাণে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে চীনের অর্থনৈতিক উদ্যোগ বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ। কিন্তু সহায়তা নেওয়া দেশগুলোর ওপর চীন ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ সমালোচকদের।

চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে তিনি এ আহ্বান জানান। বলেন যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা চালিত বিল্ড বেটার ওয়ার্ল্ড পরিকল্পনাটি চীনা প্রকল্পটির বিকল্প হতে পারে।

বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবকাঠামোয় বেইজিংয়ের বিনিয়োগকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নতুন জোট গঠনের আহ্বান জানান বাইডেন। এছাড়া চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিম সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়টি তোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সমালোচনা করেন জোরপূর্বক মুসলিমদের বন্দী শিবিরে আটকে রাখা ও অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ।

১১ জুন থেকে শুরু হওয়া এ সম্মেলন চলবে ১৩ জুন পর্যন্ত। যেখানে এবার প্রাধান্য পাবে ভ্যাকসিন কূটনীতি, বিশ্ববাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকটের মত বিষয়গুলো। এছাড়া আলোচনায় আসতে পারে গুগল, অ্যাপল ও অ্যামাজনের মতো বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে ন্যূনতম ১৫ শতাংশ করপোরেট কর পরিশোধের ব্যাপারে চাপ প্রয়োগের বিষয়টি। করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও জাপানের মত ধনী দেশগুলো একত্রে কোন বৈঠকে মিলিত হয়েছে।