জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে উপকূলীয় অঞ্চল

আপডেট: আগস্ট ১৫, ২০২২
0
ছবি, সংগৃহীত

ডেস্ক রিপোর্ট:
জোয়ারের পানিতে একের পর এক গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে উপকূলীয় অঞ্চলের। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে নদ-নদীর পানি।

ঝালকাঠী থেকে জানানো হয়েছে, বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ঝালকাঠির সব নদ নদীর পানি। এতে উপকূলের অন্তত ৫০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে মাছের ঘের ও আমন ধানের বীজতলা।

আজ সোমবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হাসান জানান, জেলার সুগন্ধা, বিষখালী, হলতা, গাবখান ও বাসন্ডাসহ সব নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানানা, বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে কাঁঠালিয়া উপজেলা পরিষদ ভবন, নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন, আমুয়া, বড় কাঁঠালিয়া, শৌলজালিয়া, কচুয়া ফেরিঘাটসহ অন্তত ২৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া রাজাপুরের বড়ইয়া এলাকার পালট, কাচারিবাড়ি, নাপিতেরহাট, চল্লিশ কাহনিয়া, বাদুরতলা ও মঠবাড়ি এলাকার ১০ গ্রাম; নলছিটির বারইকরণ ও ফেরিঘাট এলাকাসহ ১০ গ্রাম এবং ঝালকাঠি সদর উপজেলার কলাবাগান, পোনাবালিয়া, দেউরি, চর ভাটারাকান্দা, দিয়াকুলসহ পাঁচ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

রাকিব হাসান আরও জানান, বন্যাসহ সব দুর্যোগ থেকে কাঁঠালিয়া উপজেলা পরিষদ রক্ষার জন্য একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এর কাজ আগামী শুকনো মৌসুমে শুরু হবে। উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বেড়িবাঁধ, রাজাপুর, নলছিটি ও সদর উপজেলার যেখানে বাঁধ নেই সেখানে নতুন করে বাঁধ তৈরির কাজ শুরু হবে।

কাঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপন জানান, বাঁধ না থাকায় সামান্য পানিতে উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ অন্তত ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়। বিষয়টি বেশ কয়েকবার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম জানান, জোয়ারের পানিতে আমন বীজতলা, বর্ষাকালীন শাক-সবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে। পানি কমলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হবে।
রাজাপুর থেকে জানানো হয়েছে অপেক্ষাকৃত একটু নিচু স্থানগুলো ইতিমধ্যে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।