জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করে সরকার দেশে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে-শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন

আপডেট: নভেম্বর ৭, ২০২১
0

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান আজ এক যৌথ বিবৃতিতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বাংলাদেশ পেট্্েরালিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) কর্তৃক ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য প্রতি লিটারে ১৫ টাকা বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ^ বাজারে জ¦ালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধির অজুহাত দিয়ে সরকার কোন রকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়া জ¦ালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করে দেশে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার এমন সময় জ¦ালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করেছে যখন চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের দাম শ্রমজীবীসহ দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। করোনাকালীন সময়ে অসংখ্য মানুষ কর্ম হারিয়ে আয়হীন হয়ে পড়েছে। যাদের কর্ম আছে তাদের আয় কমে গেছে। বিভিন্ন সংস্থার জরিপে উঠে এসেছে দেশে করোনাকালে গত দুই বছরে দরিদ্র হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি মানুষ। যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর উচ্চমূল্য ঘরে ঘরে হাহাকার সৃষ্টি করেছে। ঠিক এই সময়ে এসে সরকার নতুন করে জ¦ালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করে চরম জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার জ¦ালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির সময় বিশেষজ্ঞ হতে শুরু করে এই খাতের কোন পক্ষের সাথে আলোচনা করার প্রয়োজন মনে করে নাই। যা সরকারের একগুঁয়েমি মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। সরকার জ¦ালানি তেলের ওপর শুল্ক ছাড় দিয়ে জ¦ালানি তেলের মূল্য আরো কমিয়ে দিতে পারত। কিন্তু সরকার সেই সুযোগ না নিয়ে বরং দেশে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। গত কয়েকদিন ধরে পরিবহন ধর্মঘটে ঢাকাসহ সারাদেশের মানুষ যে দুর্ভোগে পড়েছে তার দায়

কোনভাবেই সরকার এড়াতে পারে না।

নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে অযৌক্তিক জ¦ালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি প্রত্যাহার করতে হবে। এইখাতের সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তিদের সাথে সুষ্ঠু আলোচনা মাধ্যমে জ¦ালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। জ¦ালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির জন্য কৃষিখাত যেন স্থবির না হয়ে পড়ে সেদিকে সরকারকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। দেশের বৃহত্তর প্রয়োজনে কৃষিখাতে ভর্তুকি দিতে হবে। কৃষক শ্রমিকদের স্বল্পমূল্যে প্রয়োজনীয় উপকরণ দিয়ে কৃষি অর্থনীতিকে সচল রাখতে হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, চাল, ডাল, তেল, সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর দাম শ্রমজীবীসহ দেশের সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার নাগালে নিয়ে আসতে সরকারকে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে। করোনাকালীন সময়ে চাকুরিচূত শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নিম্ম আয়ের মানুষদের চাল, ডাল, তেলসহ স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী প্রদান করতে হবে।