টঙ্গীতে মসলা বাটার শীল দিয়ে স্বামীকে খুন, থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে স্ত্রী গ্রেফতার

আপডেট: মে ৯, ২০২২
0

গাজীপুর প্রতিনিধিঃ গাজীপুরে পারিবারিক বিরোধের জেরে রংমিস্ত্রি স্বামীকে মসলা বাটার শীল (পুঁতা) দিয়ে মাথায় আঘাত করে ও গলায় গামছা পেঁচিয়ে খুন করেছে তার স্ত্রী। পরে স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে ওই ঘাতক নারী। সোমবার দুপুরে মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন পূর্ব আরিচপুর (ভূঁইয়া পাড়া) এলাকার রফিকুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম- ফয়সাল আলম খান (৩৩)। তিনি সিলেটের রইস আলী খানের ছেলে। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী গ্রেফতারকৃত মোরশেদা খামারু রাজশাহীর বাগমারা থানার সাদিপুর গ্রামের মৃত মনসুর খামারুর মেয়ে।

জিএমপি’র টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি জাবেদ মাসুদ ও নিহতের স্বজনরা জানান, প্রায় ১৩ বছর আগে মোরশেদা তার প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে ফয়সালকে ভালবেসে বিয়ে করেন। বছরখানেক আগে গাজীপুর মহানগরীরর টঙ্গীর পূর্ব আরিচপুর (ভূঁইয়া পাড়া) এলাকার রফিকুল ইসলামের বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থেকে এলাকায় রং মিস্ত্রির কাজ করতেন ফয়সাল। তাদের দাম্পত্য জীবনে কোনো সন্তান নেই। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো।

তারা জানান, দাম্পত্য কলহের জেরে সোমবার বেলা ১১ টার দিকে ফয়সাল ও মোরশেদার মাঝে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে মোরশেদা ঘরে থাকা মসলা বাটার শীল দিয়ে তার স্বামীর মাথায় আঘাত করে। এতে ফয়সাল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় গলায় গামছা পেঁচিয়ে স্বামী ফয়সালের মৃত্যু নিশ্চিত করে মোরশেদা। এ ঘটনার পর মোরশেদা টঙ্গী পূর্ব থানায় গিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেন। পুলিশ তার অভিযোগের ভিত্তিতে মোরশেদাকে সঙ্গে নিয়ে বাসায় গিয়ে ফয়সালের রক্তাক্ত দেহ ঘরে পড়ে থাকতে দেখে। এসময় পুলিশ ফয়সালকে উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্ত্রী মোরশেদা খামারুকে আটক করেছে।

জিএমপি’র উপ পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-দক্ষিণ) মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোরশেদা তার স্বামীকে শীল দিয়ে মাথায় আঘাত ও পরে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোরশেদা খামারুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য নিহতের লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।