টঙ্গী নদী বন্দর থেকে কড্ডা দূষণের উৎস ৯৬ টি

আপডেট: মার্চ ১৪, ২০২৩
0


স্টাফ রিপোর্টার,গাজীপুর:

আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দলের যৌথ উদ্যোগে টঙ্গী নদী বন্দর থেকে কড্ডা পর্যন্ত টঙ্গী খাল ও তুরাগ নদ পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করেন। আরিচপুর, মাছিমপুর, টঙ্গী বাজার, কামারপাড়া, রুস্তমপুর, ইছরকান্দি, কাশিমপুর হয়ে কড্ডা বাজারে গিয়ে এ পরিদর্শন শেষ হয়। পরিদর্শনের পুরো পথটিতে নদীর পানি ছিল কয়লা কালো । পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধি দলের প্রধান বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মনির হোসেন জানান , এ পর্যবেক্ষণে তারা সর্বমোট ৯৬ টি দূষণ উৎস চিহ্নিত করতে পেরেছেন ।

তারমধ্যে শিল্প কারখানার ১৭ টি, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৮টি, খামারের ১২টি, হাটবাজারের ৬ টি, সংযুক্ত নদী –খাল ৩ টি, বসত-বাড়ি ও অন্যান্য ৫০টি।
এছাড়াও টঙ্গী খালে রেল ব্রিজের নির্মাণকাজের জন্য মাটি ফেলে সংকুচিত করে পানির প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। একই কাজ করা হয়েছে বিআরটি ব্রিজ তৈরীর ক্ষেত্রেও।
পরিদর্শন টিমে থাকা অন্যান্য সদস্যরা হলেন বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান, সহসভাপতি মো. তাজুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা শাখা সাধারন সম্পাদক নাজমুল হোসাইন রাজিব, সংবাদিক ও পরিবেশকর্মী আমিনুল ইসলাম, নদীকর্মী মনির হোসেন সরকার, রবিউল ইসলাম শান্ত, নজরুল করিম রনি, আমজাদ হোসেন, জনপল প্রমুখ।

বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আজকের পরিদর্শনে যা দেখলাম তাতে তুরাগের শেষকৃত্য হয়ে গেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরনের জন্য সকল বাস্তবায়নকারী সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মী আমিনুল ইসলাম বলেন, জীবন্তসত্তা তুরাগের প্রাণ বায়ু বের হয়ে যাচ্ছে। তুরাগের আইনি অধিকার নিশ্চিত করতে না পারলে তুরাগকে আর বাঁচানো যাবে না।
###