টেকনাফ থেকে বিজিবির অভিযানে প্রায় সড়ে ৭ কোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধার

আপডেট: এপ্রিল ৫, ২০২১
0

বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন কর্তৃক পৃথক অভিযানে ৭,২০,০০,০০০/- (সাত কোটি বিশ লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ২,৪০,০০০ (দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ১ জন আসামী আটক করা হয়েছে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) টেকনাফ সীমান্তের দায়িত্বভার গ্রহণের পর হতে মাদকদ্রব্য পাচার প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিহত, মানবপাচারসহ সীমান্তে সংঘটিত সকল প্রকার সীমান্ত অপরাধসমূহ প্রতিরোধকল্পে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) মাদকের জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বল করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ০৪ এপ্রিল ২০২১ তারিখ রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত পৃথক দুইটি অভিযানে ০১ জন আসামীসহ ৭,২০,০০,০০০/- (সাত কোটি বিশ লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ২,৪০,০০০ (দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

ক। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, ০৪ এপ্রিল ২০২১ তারিখ টেকনাফ উপজেলার শাহপরীরদ্বীপ এলাকা দিয়ে মিয়ানমার হতে ইয়াবার ০১ টি বড় চালান বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর ব্যাটালিয়ন সদরের একটি বিশেষ টহলদল দ্রুত বর্ণিত এলাকায় গমন করে। আনুমানিক ১৯০০ ঘটিকায় টহলদল বর্ণিত স্থানে পৌঁছে মোঃ নুরুল আফসার (২২), পিতা-আবুল কালাম, গ্রাম-জালিয়াপাড়া, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার নামের একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করে।

আটককৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদকালীন বর্ণিত ব্যক্তি জানায় যে, সে গত ০৪ এপ্রিল ২০২১ তারিখ নাফ নদী হতে মৎস্য আহরণের জন্য নদীতে গমন করে এবং মিয়ানমার হতে আগত ০১ টি নৌকা হতে ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে ডাঙ্গরপাড়া এলাকায় বসবাসকারী মোঃ আমির হোসেন (৩৫) এর বসতবাড়ীতে রেখে আসে। উল্লেখ্য, বর্ণিত টহলদলটি তাকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত বর্ণিত বসতবাড়ীতে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে ০১টি ইয়াবা ভর্তি ব্যাগ উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত ব্যাগের ভিতর হতে ৪,২০,০০,০০০/- (চার কোটি বিশ লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ১,৪০,০০০ (এক লক্ষ চল্লিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, বর্ণিত বাড়ীতে কেউ হাজির না থাকায় বাড়ীর মালিককে আটক করা সম্ভব হয়নি।

খ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, ০৪ এপ্রিল ২০২১ তারিখ রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ খারাংখালী বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিআরএম-১৫ হতে আনুমানিক ৫০০ মিটার দক্ষিণ দিক হতে নাফ নদী পার হয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে খারাংখালী বিওপি’র একটি টহলদল দ্রুত বর্ণিত এলাকায় গমন করতঃ গোপনে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। আনুমানিক ২৩২০ ঘটিকায় ২-৩ জন দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তিকে মিয়ানমার হতে হস্তচালিত কাঠের নৌকা যোগে নাফ নদী পার হয়ে বিআরএম-১৫ হতে ৫০০ মিটার দক্ষিণ দিক দিয়ে বেড়ীবাঁধের পূর্ব পার্শ্বে আসতে দেখে সন্দেহ হওয়ায় টহলদলটি তাদেরকে চ্যালেঞ্জ ও ধাওয়া করে। চোরাকারবারীরা দূর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করতে পেরে নৌকা হতে লাফ দিয়ে নেমে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে দ্রুত দৌঁড়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল বর্ণিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে নদীর কিনারা হতে ৩,০০,০০,০০০/- (তিন কোটি) টাকা মূল্যমানের ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম হয়।

ইয়াবা পাচারকারীদের আটকের জন্য আজ নদীর তীরসহ পার্শ্ববর্তী স্থানে পরবর্তী ৩টা অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন পাচারকারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় ইয়াবা কারবারীদের সনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। তবে তাদেরকে সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

আটককৃত আসামীকে জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।