টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিশ্ববাসীর প্রতি আহবান প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট: মার্চ ২৩, ২০২১
0

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের এই শুভ মুর্হূতে আমি টেকসই উন্নয়ন সিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববাসীকে উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী সোমবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজিত মুজিব চিরন্তন শীর্ষক অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে একথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নেপালের প্রেসিডেন্ট বিশেষ সম্মানিত অতিথি ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এমন একটি অঞ্চলে বাসবাস করি যা প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এলাকা হিসেবে বিবেচিত। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশগুলো যেমন ভূমিকম্প, ক্লাউড ব্রাস্ট, বরফ ধস, ভূমিধস, ফ্লাস ফ্লাড বা আকস্মিক বন্যা ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ, তেমনি বাংলাদেশের মত সাগর-উপকূলবর্তী অঞ্চলসমূহ বারবার বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিকম্প, অতিবৃষ্টি বা খরার মত দুর্যোগের সম্মুখীন হয়।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, জলবায়ুর পরিবর্তন আমাদের এ উপমহাদেশের দেশগুলোকে সবচেয়ে বেশি নাজুক করে তুলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনে আমাদের অবদান না থাকলেও আমরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। আমরা অভিযোজনের মাধ্যমে সাময়িকভাবে নিজেদের রক্ষা করতে পারি, কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের বর্তমান ধারা বন্ধ করা না গেলে অভিযোজন প্রক্রিয়া দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হবে।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। তার সহধর্মিনী রাশিদা খানমও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি বিশ্ব নেতৃবৃন্দের মধ্যে তৃতীয় যিনি সরাসরি এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তার কন্যা ঊষা কিরণ ভান্ডারীও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

এরআগে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মেদ সলিহ এবং তার সহধর্মিনী ফাজনা আহমেদ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এবং শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ রাজা পাকসে তৃতীয় দিন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সোমবার ছিল অনুষ্ঠানের ৬ষ্ঠ দিন। ১০দিন ব্যাপী মুজিব চিরন্তন অনুষ্ঠানমালায় আজকের প্রতিপাদ্য ছিল ‘বাংলার মাটি আমার মাটি’।

সূত্র : বাসস