ডা মোরশেদ চৌধুরীর পঞ্চম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

আপডেট: এপ্রিল ১৫, ২০২১
0

আজ বীর মুক্তিযোদ্ধা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাকালীন কর্মী, সবার জন্য স্বাস্থ্য আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা ডা মোরশেদ চৌধুরীর পঞ্চম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়।

১৪ই এপ্রিল, ২০১৬ তারিখে ডা: মোরশেদ চৌধুরী মৃত্যু বরণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের এই বীর সেনানী দেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা ও প্রবল মমত্ববোধ থেকে। যুদ্ধপরবর্তী বিধ্বস্ত বাংলাদেশে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ‘গ্রামে চলো, গ্রাম গড়’- মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি গ্রামের সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। কঠোর সংগ্রামী এই মানুষটি কর্তব্যে ছিলেন অত্যন্ত কঠোর, কিন্তু সাধারণ মানুষ ও অধিনস্তদের প্রতি তাঁর হৃদয় ছিল কোমল।

তাঁর ৫ম মৃত্যুবার্ষিকীতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে মরহুমের কবর জিয়ারত ও PHA অডিটোরিয়ামে এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ডা মাহবুব জুবায়ের সোহাগের সঞ্চালনায় আয়োজিত এই মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা মনজুর কাদির আহমেদ, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ডা. লায়লা পারভীন বানু, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মর্তুজা আলী ও তার স্ত্রী নাসরিন চৌধুরী সহ মরহুমের দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সর্বস্তরের কর্মীবৃন্দ। এছাড়া অনলাইনে সরাসরি সংযুক্ত হয়ে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। অনলাইনে আরও সংযুক্ত ছিলেন ডা. তারিকুল ইসলাম, ডা. মুহিব উল্লাহ খন্দকার, সমাজসেবী নারী নেত্রী শিরীন হক প্রমুখ।

তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের একজন পরিচালক ও গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সদা হাস্যজ্জল মানুষটির দেশ ও জাতির প্রতি অসামান্য অবদান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে। তাঁর মৃত্যুতে দেশ হারিয়েছে একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান, সাধারণ মানুষ হারিয়েছে নিবেদিতপ্রাণ সংগ্রামী একজন চিকিৎসক ও ছাত্র-ছাত্রীরা হারিয়েছে তাদের প্রিয় শিক্ষককে।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জুমে মাধ্যমে তার বক্তব্যে বলেন, ডাঃ মোরশেদ চৌধুরী যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করার পর গেরামের অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবা দানে অসাধারণ কাজ করেন। তার চিকিৎসা সেবার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের গ্রামীন গরীব অসহায়দের মাঝে বেঁচে থাকবেন আজীবন। বর্তমান চিকিৎসকরা তার কার্যক্রম থেকে শিক্ষা নিলে বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবা বিশ্বে ইতিহাস তৈরী করবে