ঢাবিতে আবারো শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ নেতার মারধর

আপডেট: এপ্রিল ১৬, ২০২২
0

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আবারো ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা মারধরের শিকার হয়েছেন একজন সাধারণ শিক্ষার্থী।

গতকাল রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলার রোডস্থ উদয়ন স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে মারধরের শিকার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালের জরুরী বিভাগে নিয়ে চিকিৎসা করান তার সহপাঠীরা।

মারধরের শিকার শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম সজীব সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলের আবাসিক ছাত্র। আর মারধরকারী ছাত্রলীগ নেতা অতনু বর্মন জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।

ভুক্তভোগী সজীব বলেন, রাত সোয়া ১১টার দিকে আমি উদয়ন স্কুলের সামনে বাইক নিয়ে মেডিক্যাল থেকে হলে ফিরছিলাম। তখন জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অতনু বর্মনের বাইকের বহর আমার বাইকের সামনে দিয়ে যায়। তখন সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়ানোর পর আমি বাইক থামিয়ে রাস্তায় দাঁড়ালে উনারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। তখন আমি প্রত্যুত্তরে বলি যে, ‘এই ভাই, দাঁড়ান’। এরপর হঠাৎই অতনু বর্মনের নেতৃত্বে আমার ওপর জগন্নাথ হলের তার অনুসারী আনুমানিক ২০ জন এলোপাতাড়ি আক্রমণ করে। তারা কয়েক মিনিট ধরে গণহারে পিটুনি দেয়। তারা আমার মাথা, কান, গলা, হাত-পা ও পিঠে তীব্রভাবে আঘাত করে।

সজীব বলেন, আক্রমণের সময় আমি নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিচয় দিয়ে বারবার বলার পরও তারা মারধর থামায়নি, বরং তারা আমাকে আক্রমণ আরো বেশি হারে চালিয়ে যাচ্ছিলো। এমন অবস্থায় আমার বঙ্গবন্ধু হলের এক বন্ধু ও মুহসীন হলের একজন জন বন্ধু ঘটনাস্থলে এসে আমাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।

এ ঘটনা সম্বন্ধে জানতে জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অতনু বর্মনকে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে অন্য একটি গণমাধ্যমকে দেয়া মতামতে তিনি প্রথমে ঘটনা অস্বীকার করলেও পরে বাকবিতণ্ডার কথা স্বীকার করেন তিনি।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে অতনু বলেন, এরকম তো কোনো ঘটনা ঘটেনি! আমার হলে কালকে টুর্নামেন্ট আছে। আমি নিজেই তো আজকে সারাদিন ব্যস্ত আছি। টুর্মামেন্ট নিয়ে অনেক দৌড়াদৌড়িতে আছি।

পরে ভুক্তভোগীর অভিযোগ ও প্রাথমিক চিকিৎসার কথা বললে তিনি বলেন, তার সাথে আমার শুধু মুখে তর্কাতর্কি হয়েছে। তর্কাতর্কি বলতে সে প্রথমে আমাকে চিনতে পারেনি। এরপরে কথা বাদে আর কিছু হয়নি। সে যেহেতু আমার ক্যাম্পাসের জুনিয়র, সে আমাকে পরে ‘সরি’ বললো। এরপর ব্যস্ততার কারণে আমিও চলে আসি, সেও চলে যায়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সজীব একটি লিখিত অভিযোগ প্রক্টরের কাছে জমা দেন। প্রক্টর তদন্ত করে বিচারের আশ্বাস দেন।