ঢাবি অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানকে বাসাচ্যুত করায় ছাত্রদলের প্রতিবাদ ও নিন্দা

আপডেট: জুলাই ২২, ২০২২
0

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথিতযশা শিক্ষক, অধ্যাপক মোর্শদ হাসান খানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বরাদ্ধকৃত বাসা ছাড়ার জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিবন্ধ প্রকাশের জেরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত এই নোটিশ প্রদান করা হয়েছে বলে ইতোমধ্যে প্রতীয়মান হয়েছে দাবী করে এই অবৈধ নোটিশ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করার অপচেষ্টার প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষক স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার রাখেন। অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিজস্ব মতবাদ চর্চায় কলাম লেখে থাকেন। এই লেখালেখির কারণে সম্প্রতি তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। যা সম্পূর্ণ ফ্যাসিস্ট সিদ্ধান্ত। চাকরিচ্যুতের এই সিদ্ধান্তের সুরাহার জন্য উচ্চ আদালতে করা আপিল এখনও বিচারাধীন। আদালতের চূড়ান্ত নিষ্পত্তির আগেই বাসাচ্যুত করার সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক ও অমানবিক। তাছাড়া অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানের স্ত্রী একজন ক্যান্সারের রোগী ও তার একটি শিশু কন্যা রয়েছে।

এমতাবস্থায়, বাসা ছাড়ার এই সিদ্ধান্ত চরম অমানবিকতার সামিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সারা বাংলাদেশের অহংকার; এই প্রতিষ্ঠানে এমন অমানবিক কর্মকান্ড নিকৃষ্ট উদাহরণ হয়ে থাকবে। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এই দেশের ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা যুদ্ধসহ নাগরিকের স্বাধীন মতপ্রকাশের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখে আসছে, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রখ্যাত শিক্ষককে স্বাধীন মতপ্রকাশের দায়ে চাকরিচ্যুত করা, বাসা ছাড়তে বাধ্য করা অত্যন্ত গর্হিত ও নিন্দনীয় বটে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনুকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।