তীব্র গরমে আরামদায়ক লাইফস্টাইলে স্যামসাং -এর আপরাইট রেফ্রিজারেটর

আপডেট: জুন ১৩, ২০২১
0

হঠাৎ করেই অসহনীয় হয়ে উঠেছে গরম। তীব্র গরমে শরীর শীতল রাখতে খাদ্যাভ্যাসেও এসেছে পরিবর্তন। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে মানুষ অধিক পরিমাণে পানি রয়েছে এমন শাকসবজি ও ফলমূল কিনছে। রেড মিট ও মুরগির মাংসে ফ্যাটি এসিড থাকায় অনেকেই মাংসের বিকল্প হিসেবে সামুদ্রিক খাবারের দিকেও ঝুঁকেছে।
গ্রীষ্ম মানেই যত খুশি আইসক্রিম, তাজা ফলের জুস, লেবুর শরবত আর ঠান্ডা পানি খাওয়া। আর চলমান তাপদাহে ঠান্ডা খাবার খেতেও দারুণ লাগে।
তাই, এই অনিশ্চিত সময়ে আপনার এমন কিছু হোম অ্যাপ্লায়েন্স প্রয়োজন যা আপনার জীবনযাত্রায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। বিশেষ করে আপনি যখন তীব্র গরম আর বৈশ্বিক মহামারির ফলে ক্লান্তশ্রান্ত, তখন আপনাকে চাঙ্গা করে তুলবে। এই ধরনের হোম অ্যাপ্লায়েন্সের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য রেফ্রিজারেটর। আপনার এবং আপনার পরিবারকে এই গরমে সর্বাধিক কর্মক্ষম রাখতে সহায়তা করতে পারে সুবিশাল ক্যাপাসিটির উদ্ভাবনী রেফ্রিজারেটর।
তবে, সুবিশাল ক্যাপাসিটি মানে এই নয় যে একে একটি বিশাল রেফ্রিজারেটর হতে হবে। ঘরের অভ্যন্তরের সৌন্দর্য নষ্ট করবে এমন বিশাল ফ্রিজ একেবারেই কাম্য নয়। উদ্ভাবনী প্রযুক্তির মাধ্যমে স্যামসাংয়ের মতো ব্র্যান্ডগুলো বিশাল জায়গাসম্পন্ন স্লিম রেফ্রিজারেটর তৈরি করেছে, যার ভেতর আপনি অনায়াসে আপনার সাপ্তাহিক বাজারসদাই সংরক্ষণ করতে পারবেন। বিশাল ক্যাপাসিটির সাথে ক্যাবিনেট ফিট ডিজাইন আপনাকে আপনার বিদ্যমান কিচেন ইন্টেরিয়রের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ফ্রিজ ইন্সটল করতে সাহায্য করবে এবং খাবার নষ্ট হওয়া সংক্রান্ত আপনার সকল দুশ্চিন্তা দূর করবে।
রেফ্রিজারেটর কেনার সময় নির্দিষ্ট কিছু ফিচারকে অগ্রাধিকার দেয়া প্রয়োজন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে নো ফ্রস্ট, অল-অ্যারাউন্ড কুলিং, হিউমিডিটি কন্ট্রোল ভেজিটেবল বক্স, পাওয়ার কুল ও পাওয়ার ফ্রিজ, স্মার্ট কন্ট্রোল এবং পরিবেশবান্ধব ফিচার।
এমন আমাদের প্রায় সবার সাথেই ঘটেছে যে, ঠান্ডা রাখার জন্য ফ্রিজারের ভিতর আইসক্রিম বক্স রাখার কয়দিন পর খাওয়ার জন্য বের করে দেখা গেল আইসক্রিমটি বরফ খণ্ডে পরিণত হয়েছে এবং বক্স থেকে আইসক্রিম বের করতে রীতিমত লড়াই করতে হচ্ছে। নো ফ্রস্ট প্রযুক্তিযুক্ত রেফ্রিজারেটরে বাতাস এমনভাবে প্রবাহিত হয় যে রেফ্রিজারেটরের সকল জায়গায় একটি স্থির তাপমাত্রা বজায় থাকে এবং ফ্রিজের ভেতর ফ্রস্ট ও বরফ তৈরিতে বাঁধা দেয়। তাই, আপনি স্বাচ্ছন্দ্যে খেতে উপভোগ করতে পারবেন আপনার পছন্দের আইসক্রিম।
নো ফ্রস্ট প্রযুক্তি অভীষ্ট তাপমাত্রায় খুব দ্রুত পৌঁছে যায়, শীতলীকরণ প্রক্রিয়ার স্থায়িত্ব বাড়ায় এবং কম শক্তি খরচ করে।
অধিক শাকসবজি এবং ফলমূল কিনে সংরক্ষণ করতে হলে আপনার ফ্রিজে অল-অ্যারাউন্ড কুলিং সিস্টেম আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন, অন্যথায় খাবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অল-অ্যারাউন্ড কুলিং সিস্টেম স্থির তাপমাত্রার বজায় রেখে তাপমাত্রার ওঠানামা পর্যবেক্ষণ করে এবং ফ্রিজের বাতাস যাতে বিভিন্ন ভেন্টের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে দিনের পর দিন খাবার টাটকা রাখতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করে।
এছাড়া, রেফ্রিজারেটরে হিউমিডিটি কন্টোল বক্স থাকলে শাকসবজি ও ফলমূল দীর্ঘদিন সতেজ থাকে। হিউমিডিটি কন্ট্রোল ভেজিটেবল বক্স আর্দ্রতা ধরে রাখা ও ছেড়ে দেওয়ার জন্য ভেন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ এবং খুলে ক্রমাগত আর্দ্রতা লেভেল সামঞ্জস্য করে।

গরমকালে যখন আপনার তাৎক্ষণিক বরফ এবং ঠান্ডা পানীয়র প্রয়োজন হবে, তখন কাজে আসবে পাওয়ার কুল ও পাওয়ার ফ্রিজ ফিচারটি। এই প্রযুক্তি দ্রুততার সাথে পানীয় ঠান্ডা করে, হিমায়িত খাবার অটুট রাখে এবং আইস কিউব তৈরি করে। দোকান থেকে মাত্র কিনে আনা গলে যাওয়া আইসক্রিমটি সাথে সাথে খেতে চাইলে এই ফিচারটি দুর্দান্ত কাজ করবে।
ডিজিটাল ইনভার্টার কম্প্রেসার কুলিংয়ের গতি সাত স্তরে সামঞ্জস্য করে, যাতে ফ্রিজ কম শক্তি খরচ হয় এবং বিদ্যুৎ বিল নিয়ে চিন্তায় পড়তে না হয়। এছাড়া, ইনভার্টার ফ্রিজের অপ্রত্যাশিত শব্দ হ্রাস করে এবং দীর্ঘস্থায়ী পারফর্মেন্স প্রদান করে।

এসব চমৎকার সব বৈশিষ্ট্য একসাথে একটি রেফ্রিজারেটরে পেতে চাইলে আপনি বেছে নিতে পারেন প্রযুক্তিখাতে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড স্যামসাংয়ের রেফ্রিজারেটর। রেফ্রিজারেটর কেনা নিয়ে দুশ্চিন্তা দূর করতে স্যামসাং বাংলাদেশ এসব সকল ফিচারের সমন্বয়ে নিয়ে এসেছে আপরাইট রেফ্রিজারেটর। এছাড়াও, এই রেফ্রিজারেটর কেনার সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে এর ইনভার্টারে রয়েছে ১০ বছরের ওয়্যারেন্টি এবং পাওয়া যাবে ৯৪,৯০০ টাকায়।