দং ইউ ছেন থেকে পিয়াস মজিদের সাক্ষাৎকার : ‘বাংলা সাহিত্য অত্যন্ত গভীর ও বৈচিত্র্যপূর্ণ’

আপডেট: মে ৯, ২০২৩
0

চীনের রবীন্দ্র-গবেষক ও অনুবাদক দং ইউ ছেন। চীনা ভাষায় তেত্রিশ খণ্ডে রবীন্দ্র-রচনাবলী অনুবাদ ও সম্পাদনা করেছেন। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস রচনা ও বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসও অনুবাদ করেছেন তিনি। সম্প্রতি এসেছিলেন বাংলাদেশে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন পিয়াস মজিদ

দং ইউ ছেন। ছবি: মুহাম্মদ মোজাম্মেল হকদং ইউ ছেন। ছবি: মুহাম্মদ মোজাম্মেল হকপিয়াস মজিদ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিয়ে আপনার কাজের বিষয়ে একটু বিস্তারিত জানতে চাই।

দং ইউ ছেন: সেই ১৯৬০ সালের সেপ্টেম্বরে সোভিয়েত ইউনিয়নের লেনিনগ্রাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যবিদ্যা বিভাগে সাড়ে পাঁচ বছর বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে লেখাপড়া করেছি। এর আগে শিখেছি রুশ ভাষা। বিপুল রবীন্দ্ররচনার মধ্যে প্রথম দিকে আমাকে আকৃষ্ট করে গীতাঞ্জলি, গল্পগুচ্ছ ও নৌকাডুবি। নৌকাডুবি পড়ার সময় আমার হৃদয়নদীতে যেন গভীর ভালোবাসার তরঙ্গ সৃষ্টি হয়। এই উপন্যাসটি খুব পছন্দ হয় আমার। তখনই মনে হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষে চীনে ফিরে গিয়ে যদি বইটি অনুবাদ করি তাহলে আমার দেশের মানুষ রবীন্দ্রনাথের একটি অসামান্য সৃষ্টির স্বাদ লাভ করতে পারবে।
১৯৬৫-এর ডিসেম্বরে শিক্ষা সম্পন্ন করে সেন্টপিটার্সবুর্গ থেকে বেইজিং চলে আসি। প্রথমে রুশ ভাষায় কিছু কাজ করেছি, কিন্তু বাংলা ভুলে যাইনি মোটেও। সাড়ে পাঁচ বছর এই ভাষা নিত্য ব্যবহার করেছি, প্রেমে পড়ে গেছি এই ভাষার। নিত্যদিনের কাজ শেষে বাড়ি ফিরে সময় বের করে গল্পগুচ্ছ মন দিয়ে পড়ি, নোট নিই এবং অনুবাদ করি। ধাপে ধাপে অনুবাদ করেছি ‘মহামায়া’, ‘জীবিত ও মৃত’, ‘খাতা’—এমন প্রায় পঁচিশটির বেশি গল্প। এর মধ্যে হুয়া-ওন্বেন গণপ্রকাশনালয় আমার কাছ থেকে নৌকাডুবির অনুবাদ চায়। প্রায় আট-নয় মাসে সেটি শেষ করি। তারপর আর একটি প্রকাশনী রবীন্দ্রনাথের ঘরে বাইরে উপন্যাসটি আমার চীনা অনুবাদে প্রকাশ করে। রবীন্দ্র সাহিত্যের ক্ষেত্রে নানা মুনির নানা মত আছে; তবে আমি তাঁর উপন্যাস সম্পর্কে একবাক্যে বলি: আমার সবচেয়ে প্রিয় উপন্যাস নৌকাডুবি। নৌকার ডুবে যাওয়ার মতোই মানুষের গভীরে ডুব দিয়ে রবীন্দ্রনাথ তাঁর কাহিনি বর্ণনা করেন সহজ-সুন্দর ভাষায়।
এরপর ধীরে ধীরে আমি কবিতা অনুবাদে হাত দিই। চীনা ভাষায় অনুবাদ করি চৈতালী, কড়ি ও কোমল ইত্যাদি বইয়ের কবিতা। নাটকও অনুবাদ করেছি তবে তখনো প্রবন্ধ-নিবন্ধ অনুবাদে হাত দিইনি।
পিয়াস: মূল বাংলা থেকে চীনা ভাষায় রবীন্দ্ররচনার তেত্রিশ খণ্ডের অনুবাদ নিয়ে কিছু বলুন।
দং ইউ ছেন: বাংলা থেকে চীনা ভাষায় অনুবাদ করার সুযোগ এখন অনেক বেশি, তবে আগে এতটা সহজ ছিল না। একসময় চীনা পাঠকেরা হিন্দি, ইংরেজি থেকে করা চীনা অনুবাদে বাংলা সাহিত্য পেত। চীনের গণপ্রকাশনালয় যেকোনো সাহিত্যকর্ম মূল ভাষা থেকে চীনা ভাষায় অনুবাদের ওপর জোর দেওয়ায় ইতিবাচক ফল এসেছে। অতঃপর রবীন্দ্র-রচনাবলী মূল বাংলা থেকে চীনা ভাষায় অনুবাদের প্রকল্প গৃহীত হলে আমাকে এ কাজের প্রধান অনুবাদক ও সম্পাদক নিযুক্ত করা হয়। পাঁচ বছর ধরে চলমান এ কাজে আমরা আঠারোজন প্রবীণ-নবীন যুক্ত ছিলাম। আমাদের সহায়তা করেছেন লেখক-অনুবাদকেরা, সংবাদমাধ্যম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর এবং চীনের কেন্দ্রীয় কমিউনিস্ট পার্টি স্কুল। আজ রবীন্দ্রনাথের স্পর্শধন্য বাংলাদেশে এসে আমি স্মরণ করি আমার দুই বন্ধুকে—যাঁরা এই কাজে যুক্ত থাকার সময়ই প্রয়াত হন। ২০১৫-এর ডিসেম্বর মাসে রবীন্দ্রনাথের ১৫৫তম জন্মদিনের আনন্দলগ্নে রবীন্দ্ররচনার তেত্রিশটি খণ্ড মূল বাংলা থেকে চীনা অনুবাদে প্রকাশিত হয়। এতে রবীন্দ্রনাথের গান ছাড়া কবিতা, নাটক, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ এবং গ্রন্থপরিচয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
গণপ্রকাশনালয় অবশ্য আগেও রবীন্দ্ররচনা বেশ কয়েক খণ্ডে অনুবাদ করে প্রকাশ করেছিল। তবে সেখানে হিন্দি, ইংরেজিসহ আরও অনেক ভাষার বিশেষজ্ঞ বিভিন্ন ভাষা থেকে রবীন্দ্রনাথকে চীনা ভাষায় রূপান্তর করেছিল। নানা ভাষা থেকে অনুবাদের ফলে এই কাজে কিছু প্রমাদ রয়ে গিয়েছিল। তখন আমরা পাঠকের স্বার্থে তা মূল ভাষা থেকে অনুবাদের গুরুত্ব অনুভব করি। তাই এই বিরাট কর্মযজ্ঞ। চীনা পাঠকেরা এবার সুযোগ পেয়েছে মূলানুগ রবীন্দ্রনাথকে অনুধাবন এবং আবিষ্কার করার।
পিয়াস: সাধারণ চীনা জনগণ রবীন্দ্রনাথকে কীভাবে গ্রহণ করেছে?
দং ইউ ছেন: চীনা ভাষায় অনেক বিদেশি কবি-লেখকের রচনা অনূদিত হয়েছে। বিশেষত পশ্চিমের সাহিত্য। রাশিয়ার তলস্তয়, পুশকিন, শোলখভ—এমন উল্লেখযোগ্য সাহিত্যিকের রচনা অনূদিত হয়েছে। তবে আমি বলতে পারি, এঁদের সবার তুলনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখাই চীনাদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করেছে। তার কারণ রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য যেমন অসাধারণ তেমনি রবীন্দ্রনাথ নামের ব্যক্তিমানুষটিও ছিলেন অসাধারণ। আপনারা জানেন, ১২৯০ বঙ্গাব্দে তরুণ রবীন্দ্রনাথ চীনে মরণের ব্যবসায় নামে প্রবন্ধ লিখে চীনের মানুষকে আফিমের নেশা ধরানোর জন্য পশ্চিমা স্বার্থবাদী শক্তির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। চীনা জনতা এ জন্য আজও তাঁকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে। চীনে ১৯৬১-তে রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবর্ষ এবং সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর সার্ধশততম জন্মশতবর্ষ সাড়ম্বরে উদ্যাপিত হয়েছে।
পিয়াস: রবীন্দ্রনাথ অনুবাদের কেমন সাড়া ও স্বীকৃতি পেয়েছেন?
দং ইউ ছেন: চায়না রেডিও ইন্টারন্যাশনাল (সিআরআই) বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও ভারতীয় ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষাতেও অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে। রবীন্দ্র-রচনাবলীর প্রকাশ উপলক্ষে এই রেডিও স্টেশন একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আনন্দের বিষয় এই যে সেখানে বাংলাদেশ ও ভারতের কূটনীতিকেরা সমবেত হয়ে আমাদের এ কাজের জন্য অভিনন্দিত করেন।
রবীন্দ্রনাথ নিয়ে আমার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে কলকাতা থেকে দুটি বিশেষ সম্মান লাভ করেছি। ২০১০ সালের ৮ মে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ডি লিট প্রদান করে আর একই বছরের ৯ মে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি ‘রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার’-এ ভূষিত করে। প্রয়াত বন্ধু সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত থেকে রবীন্দ্রনাথের নামাঙ্কিত পুরস্কার গ্রহণ করতে পেরে আমার খুব আনন্দ হয়েছিল।
পিয়াস: বাংলা থেকে চীনা ভাষায় অনুবাদের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যায় পড়েছেন কি?
দং ইউ ছেন: আমরা অনুবাদের সময় বাংলা ভাষার গভীর অনুশীলন করেও কিছু বাস্তবিক সমস্যায় পড়েছি। অনুবাদের সময় কিছু স্থানীয় বিষয় যেমন অপরিচিত ঠেকেছে, তেমনি সংস্কৃত ভাষার কিছু ব্যবহারও বুঝতে অসুবিধা হয়েছে। প্রয়োজনীয় অভিধানের অভাবে সেগুলো চীনা ভাষায় অনুবাদে আত্তীকৃত করা দুরূহ ছিল। সে সময় বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বন্ধুদের ভালো সহায়তা পেয়েছি। পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট লেখক প্রয়াত মহাশ্বেতা দেবী, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, পবিত্র সরকার, করুণাসিন্ধু দাস, বাংলাদেশের শামসুজ্জামান খান—এঁদের ই-মেইলের মাধ্যমে আমাদের সমস্যা জানাই। সমাধানের পথ খুঁজি। তাঁদের প্রশ্ন প্রেরণ করে বেশ কিছু কার্যকর উত্তর পাই, যা আমাদের অনুবাদ ও সম্পাদনাকর্মে সহায়ক হয়েছে। এই কাজকে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বন্ধুরা নিজের কাজ ভেবে যেভাবে সহায়তা করেছেন, তাতে তাঁদের বিশেষ ধন্যবাদ দিতেই হয়।
পিয়াস: রবীন্দ্রনাথ ছাড়া বাংলা সাহিত্যের আর কী কী অনুবাদ করেছেন আপনি?
দং ইউ ছেন: রবীন্দ্রনাথ ছাড়া বঙ্কিমচন্দ্রের বেশ কিছু লেখা সাহিত্য চীনা ভাষায় অনুবাদ করেছি। যেমন ইন্দিরা, কৃষ্ণকান্তের উইল, রাজসিংহ, চন্দ্রশেখর ইত্যাদি। অনুবাদ করেছি শরৎচন্দ্রের উপন্যাসিকা বড়দিদি ও তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের উপন্যাস স্বর্ণলতা। রুশ থেকে চীনা ভাষায় ভাষান্তর করেছি মহাভারতের সংক্ষিপ্তসার এবং শ্রীকৃষ্ণের জীবনকাহিনি। লিখেছি দক্ষিণ এশিয়ার কবি রবীন্দ্রনাথ শিরোনামে রবীন্দ্রনাথের একটি জীবনীও। অনুবাদের পাশাপাশি সুখ্যাত পণ্ডিত অধ্যাপক জি শিয়েন লিয়ের নেতৃত্বে ‘প্রাচ্যসাহিত্যের ইতিহাস’ শিরোনামে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের কাজে যুক্ত থাকার সুবাদে লিখতে পেরেছি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস অংশটিও।
পিয়াস: আধুনিক বাংলা সাহিত্য সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন জানতে চাই।

দং ইউ ছেন: ভারতবর্ষের বিভিন্ন ভাষার সাহিত্য—যেমন: হিন্দি, পাঞ্জাবি—মনোযোগ দিয়ে পড়েছি আমি। তবে এসব ভাষার সাহিত্যের তুলনায় আমার কাছে বাংলা সাহিত্যকে অত্যন্ত গভীর ও বৈচিত্র্যপূর্ণ মনে হয়েছে। আমার বয়স এখন আশি বছর। আমি সময় না পেলেও আশা করি আমার তরুণ চীনা বন্ধুরা আধুনিক বাংলা সাহিত্য বিস্তৃতভাবে অনুবাদ করে চীনা পাঠককে উপহার দেবে। আমি মনে করি, চীনা জনগণের আরও বেশি করে বাংলা শিখে এ ভাষার বইপত্র পড়া উচিত। কেন বাঙালিদের মধ্য থেকে রবীন্দ্রনাথসহ মহৎ মনীষার আবির্ভাব হয়েছে, তার সূত্র বুঝতে হলে বাঙালিদের লেখা বইপত্র পড়তে হবে।
পিয়াস: বাংলাদেশে প্রথম কবে এসেছেন? এখানকার অভিজ্ঞতা কেমন?

দং ইউ ছেন: বাংলাদেশে আমি প্রথম আসি ২০০৮ সালের জানুয়ারি মাসে। বেশ কিছুদিন ছিলাম সে যাত্রায়। বাংলাদেশে এসে আমার অধীত বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে নতুনভাবে অনুভবের সুযোগ লাভ করি। প্রথমে যখন বাংলাদেশে এলাম, তখন এখানকার অনেক বন্ধু আমাকে লঞ্চে করে নদীতে ঘুরিয়েছে। বুড়িগঙ্গায় গিয়েছি। ঢাকার আশপাশের গ্রাম দেখেছি। গ্রামের ফসলি খেতে নেমে দেখেছি চারদিকে সবুজ আর সবুজ—কী যে ভালো লাগল! আরও ভালো লাগল, যখন দেখলাম আলু আর শসার মতো আমার প্রিয় সব সবজির স্তূপ ছড়ানো আছে মাঠে। মনে হয়েছিল, বাংলার এই শোভা দেখেই রবিঠাকুর লিখেছিলেন ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি…’। বাংলার স্থল ও জলভূমির সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়েছি আমি। ২০০৮-এ, প্রায় একই সময়ে আমি কলকাতায়ও গিয়েছি।
পিয়াস: বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গিয়েছেন বেশ কয়েকবার। দুই বাংলার মধ্যে কী পার্থক্য ও মিল চোখে পড়েছে?

দং ইউ ছেন: দুই দেশের বাংলা ভাষার দিক থেকে এক। তবে ইতিহাসের পরিক্রমায় কিছু রাষ্ট্রনৈতিক স্বাতন্ত্র্য গড়ে উঠেছে। আমার কাছে দুই দেশের ভাষা ব্যবহারে কিছু পার্থক্য চোখে পড়েছে। ওখানে যাকে ‘ঠাকুরদা’ বা ‘ঠাকুরমা’ বলে এখানে তাকে সচরাচর ‘দাদা’ বা ‘দাদি’ বলে। এ ছাড়া আরও কিছু পার্থক্য টের পেয়েছি, কিন্তু উভয় অঞ্চলের মানুষের বাংলা উচ্চারণের ভেতরেই একটি অভিন্ন সুরেলা ব্যাপার আছে। আমি গোটা বাঙালি জাতিকে এক করে দেখি। কারণ আমি অখণ্ড বাংলা ভাষার সাহিত্য পড়েছি, ভালোবেসেছি।

পিয়াস: এবার বাংলাদেশের বইমেলা কেমন লাগল?
দং ইউ ছেন: প্রথমবার ২০০৮-এ যখন বাংলাদেশে আসি, তখনো বইমেলা দেখেছি। ঘুরে ঘুরে কিনেছি অনেক বই। মানুষ লাইন ধরে বই দেখছে, কিনছে; বিশেষ করে ছাত্রছাত্রী তরুণ প্রজন্ম যেভাবে বইয়ের দিকে আকৃষ্ট, তা ভীষণ আশাবাদী হওয়ার মতো ব্যাপার। এখানে পড়াশোনার জন্য মানুষের আগ্রহ চোখে পড়ার মতো।
পিয়াস: ভবিষ্যতে বাংলা সাহিত্য নিয়ে আর কী কী কাজের পরিকল্পনা আছে আপনার?
দং ইউ ছেন: রবীন্দ্রনাথের মতো কাজী নজরুল ইসলাম আমার খুবই পছন্দের কবি। বিশেষ করে ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি। নজরুলের সাহিত্য অনুবাদ করার ইচ্ছে আছে। আরও ইচ্ছে আছে বাংলা সাহিত্যের আধুনিক কবিদের একটি সুনির্বাচিত সংকলন চীনা ভাষায় অনুবাদ করার। আর যদি আরেকটু প্রসারিত জীবন পাই তাহলে আমি বড় পরিসরে বাংলা সাহিত্যের একটি ইতিহাস লিখতে চাই।

০৩ মার্চ ২০১৭, ০১:৪১ প্রকাশিত হয়েছিলো পশ্চিমবঙ্গের আজকাল অনলাইন সংস্করনে