‘দক্ষিণাঞ্চলের জানমাল রক্ষা ও খাদ্য উৎপাদন লক্ষ্যে টেকনাফ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত বেড়ীবাধ চাই’

আপডেট: জুন ১৮, ২০২১
0

জলোচ্ছ্¦াস থেকে দক্ষিণাঞ্চলের জান মাল রক্ষা ও খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার কাছে আমাদের আহ্বান টেকনাফ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত বেড়ীবাধ চাই। যা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭০ সালে নির্বাচনে বলেছিলেন। বেড়ীবাদের দাবীতে মানববন্ধন ১৮ জুন ২০২১ সকাল ১১.৩০ ঘটিকায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্তর ঢাকায় হয়েছে।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল।
বক্তব্য রাখেন- কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ,বাংলাদেশ জাসদের নেতা হুমায়ুন কবির, বরিশাল বিভাগ সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ স ম মোস্তফা কামাল, সদস্য শহীদুন্নবি ডাবলু ও নকিব হক, নারীনেত্রী এলিজা রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সহ সভাপতি ফাতেমা খাতুন, সাধারন সম্পাদক সমীর রঞ্জন দাস ও দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন প্রমুখ।

সভাপতির ভাষণে এম এ জলিল বলেন- ১৯৭০ সালে জলোচ্ছ্বাসে বৃহত্তর বরিশাল ও নোয়াখালীতে ১০লক্ষ লোক মৃত্যুবরণ করেন এবং প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। যা আজ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের ক্ষত মেলান হয় নাই। ১৯৯১ সনে চট্টগ্রামে জলোচ্ছ্বাসে প্রায় ৫ লক্ষের মতো মানুষ মারা যায়। বাংলাদেশ বিমানের যুদ্ধের বিমান ৭/৮টি ক্ষতিসহ প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। ২০০৭ সালে সিডরে প্রায় ১৫ হাজার লোকের মৃত্যুবরণ করেন এবং অনেক সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। ২০০৮ সালে আইলায় ১২ হাজার লোক মৃত্যুবরণ করেন।

তখন যে সম্পদের ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ হওয়ার নয়। এই ক্ষতিপূরণ থেকে রক্ষা পাওয়ার লক্ষে ঐ এলাকার জনগণ আপ্রাণ চেষ্টা করতে ছিল। সেই মূহুর্তেই চলতি বছরে ইয়েসে জলোচ্ছ্বাসের মাধ্যমে জানের ক্ষতি কম হয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের যে সম্পদের ক্ষতি হয়েছে তা বলার নয়। সেই কারণেই আজকের ঐ এলাকা থেকে দাবী তুলেছে ত্রাণ বা রিলিফ নয়, বেড়ীবাধ চাই। আজকের মানববন্ধনে আমাদেরও দাবী টেকনাফ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত বেড়ীবাধ চাই। যার ওয়াদা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭০ এর নির্বাচনে করেছিলেন। এই ওয়াদাটি বাস্তবায়ন করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আহ্বান জানাই। বেড়ীবাধটি বাস্তবায়িত হলে উপকূলের প্রচুর পরিমানে জমি রক্ষা পাবে এবং উপকূলের নদী খাল বিল পানিকে ব্যবহার ঐ এলাকার খাদ্য উৎপাদন ৩/৪ গুন করতে পারবে এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।

তবেই স্বার্থক হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা, শেরে বাংলা সোহরাওয়ার্দী মওলানা ভাসানী ও তাজউদ্দীন আহমেদের আখাংকিত বাংলাদেশ। আসুন আমরা সেই লক্ষে বেড়ীবাধের কাজটি করি। আমাদের দাবীকৃত বেড়ীবাধটি হবে চওড়া ৩শত ফুট ও উচ্চতা হবে ১শত ফুট এবং বাংলাদেশের ভিতর থেকে যে সব নদীগুলো সাগরের সাথে মিলিত হয়েছে সেই সব নদীর মোহনা থেকে বাংলাদেশের ভিতরে যতদূর সম্ভব নদীর দুই পাড় দিয়ে বেড়ীবাধ নির্মাণ করতে হবে। যে বেড়ীবাধের উচ্চতা ৫০ ফুট ও চওড়া ১শ ফুট। এই বেড়ীবাধটি নির্মাণ হলে ফসলী জমি বাড়বে, খাদ্যের উৎপাদন বাড়বে। দুগ্ধ উৎপাদন এবং মৎস্য ও হাস-মুরগী, গরু ছাগল পালন তরান্বিত হবে।

Virus-free. www.avast.com