দুর্নীতির মামলায় সু চির ৫ বছরের জেল

আপডেট: এপ্রিল ২৭, ২০২২
0

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত গৃহবন্দি গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিকে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। দুর্নীতির দায়ের দেশটির আদালত বুধবার (২৭ এপ্রিল) সু চির বিরুদ্ধে এই রায় দেন।

সু চির বিরুদ্ধে মোট ১১টি দুর্নীতির মামলা চলছে। এর মধ্যে প্রথমটিতে তিনি দোষী সাব্যস্ত এবং কারাদণ্ড পেলেন। গণতন্ত্রপন্থি এই নেত্রীর কারাদাণ্ডের রায়ের ব্যাপারে জানেন, এমন একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

শান্তিতে নোবেলজয়ী ৭৬ বছর বয়সী অং সান সু চির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে প্রায় বহু সংখ্যক মামলা দায়ের করে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী জান্তা সরকার। এর মধ্যে তার বিরুদ্ধে ১৮ মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোর জান্তানিয়ন্ত্রিত আদালতেই সেসব মামলার বিচার চলছে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের হওয়া সবগুলো মামলায় যদি সু চি দোষী সাব্যস্ত হন, সেক্ষেত্রে সবমিলিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রায় ১৯০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ হতে পারে। সু চি অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ বরাবরই মিথ্যা বলে দাবি করে এসেছেন।

রয়টার্স বলছে, বুধবার রাজধানী নেইপিদোর আদালতে কার্যক্রম শুরু হওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই অং সান সু চির বিরুদ্ধে বিচারক রায় ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছে ওই সূত্রটি।

বার্তাসংস্থাটির দাবি, নামপ্রকাশ না করার শর্তে ওই সূত্রটি রয়টার্সকে এই তথ্য দিয়েছে। কারণ বন্ধ দরজার পেছনে এই বিচার কার্যক্রম চলছে এবং সঙ্গত কারণেই সেখান থেকে তথ্য প্রকাশের বিষয়ে সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

এদিকে, কারাদণ্ডের রায় ঘোষণার পরপরই সাজা কার্যকর করতে ৭৬ বছর বয়সী সু চিকে এখন কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে কি না সেটি তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। মূলত ২০২১ সালে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গ্রেপ্তারের পর থেকে সু চিকে একটি অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়েছে।

এর আগে তুলনামূলকভাবে ছোটখাটো অপরাধের জন্য ডিসেম্বর এবং জানুয়ারিতে মিয়ানমারের এই গণতন্ত্রপন্থি নেত্রীকে মোট ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অবশ্য সু চির রায়ের বিষয়ে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের কোনো মন্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।