দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারেক রহমান-মীর্জা ফখরুল

আপডেট: মে ১১, ২০২১
0

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ ইমরান ইপ্রন্স সালেহ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পৃথক বাণী দিয়েছেন।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বানী হুবুহ দেশজনতা ডটকমের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো ।
তারেক রহমানের বাণী :
“পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলমানকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। ঈদ মুবারক।

ব্যক্তি জীবনকে সুন্দর, পরিশুদ্ধ ও সংযমী করে গড়ার লক্ষ্যে মোমিন মুসলমানদের মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর অনাবিল আনন্দের বার্তা নিয়ে ঈদুল ফিতর সমাগত।

বিশ্ব মুসলিমের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর। উৎসব মানুষের আনন্দময় স্বত্তার জাগরণ ঘটায়। তার আত্মাকে মিলনের বোধে উদ্দীপ্ত করে। ঈদ মুসলমানদের জীবনে আল্লাহ তা’আলার এক অমূল্য নিয়ামত। সমাজের সকল ভেদরেখা ও সীমানা অতিক্রম করে মানুষে মানুষে মহামিলন ঘটায় ঈদুল ফিতরের উৎসব। সৃষ্টি করে পরষ্পরের প্রতি আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছাবোধ।

ধনী-গরিব, উচু-নিচু নির্বিশেষে সকল মানুষকে নিবিড় ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ করে। হানাহানি, হিংসা, বিদ্বেষ এবং তিক্ততার গ্লানি থেকে মানুষের মনকে এক অনাবিল স্বর্গীয় শান্তি ও সম্প্রীতির বোধে উদ্দীপ্ত করে ঈদুল ফিতরের উৎসব। তাই আজকের এই উৎসবের দিনে প্রতিটি মুসলমান নর-নারী সৌহার্দ্যরে বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আনন্দকে একত্রে উপভোগ করতে হবে।

ঈদুল ফিতর নির্মল আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে দিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মর্মবাণী মানবজাতির কাছে পৌছে যায় তা হচ্ছে ‘সকলের তরে সকলে আমরা’। এই মর্মবাণী মানসিক কদর্য, অন্যায়, অবিচার ও নিষ্ঠুর সামাজিক অসাম্যকে অতিক্রম করে এক নিবিড় ভাতৃত্ববোধের প্রেরণা জাগায়। আর এই প্রেরণায় উদ্দীপ্ত হয়ে সমাজের অপেক্ষাকৃত দরিদ্র, অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষের প্রতি সাহায্য ও সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া মুসলমান হিসাবে আমাদের কর্তব্য। চাঁদাবাজীর জুলুম, সন্ত্রাসের নানা ডালপালা এবং জিনিসপত্রের অভিঘাত সত্ত্বেও ঈদ আমাদের জাতীয় জীবনে সংস্কৃতির দ্যোতক, আবহমান কাল থেকে শুভেচ্ছা ও আনন্দের আদান-প্রদান। বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসী করোনা ভাইরাসের মরণছোবলে বিপর্যস্ত। এই মরণঘাতি ভাইরাসের কবল থেকে বাংলাদেশসহ বিশ^বাসীকে নিরাপদ করার জন্য আমি মহান আল্লাহর দয়া ভিক্ষা চাই।

পাশাপাশি ঈদুল ফিতরের দিনে আমি আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাণী দিয়েছেনঃ-
বাণী
”পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশ ও সারা বিশ্বের মুসলমানদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক। আমি বিশ্ব মুসলিমের অব্যাহত সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করি।

মাসব্যাপী কঠোর সিয়াম সাধনার পর মুসলমানদের জীবনে এক স্বর্গীয় শান্তি ও আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে ঈদুল ফিতর। ঈদুল ফিতরের উৎসব মুসলমানদের নিবিড় ভাতৃত্ববোধে উদ্বুদ্ধ করে। মাসব্যাপী রমজানের আত্মশুদ্ধির মহান দীক্ষার মধ্য দিয়ে আসে ঈদুর ফিতরের আনন্দঘন মূহুর্ত। দেশের বিদ্যমান ক্রান্তিলগ্নে সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঈদের আনন্দ নিজেদের ভাগ করে নিতে হবে। তাই ঈদুল ফিতরের শিক্ষা থেকে আমাদের অঙ্গীকার হোক সকল হিংসা, বিদ্বেষ ও হানাহানি থেকে মুক্ত হয়ে ন্যায়, সাম্য, ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব, দয়া, সহানুভুতি, মানবতা ও মহামিলনের এক ঐক্যবদ্ধ ও ভালোবাসাপূর্ণ সমাজ এবং দেশ গঠনের জন্য একযোগে কাজ করা।

বিশ^ব্যাপী করোনা ভাইরাসের আঘাতে এবারে হয়তো পূর্বের ন্যায় সবাইকে নিয়ে ঈদের আনন্দ উদযাপন করা সম্ভব হবে না। তবুও আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন ঘনিষ্ঠজন, নিকটজনসহ সকলেই ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেবো। কোন অসহায় ও দু:স্থ মানুষ যেন অভুক্ত না থাকে সেজন্য যারা সচ্ছল ব্যক্তি তারা যেন তাদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন, যাতে নিরন্ন মানুষরাও ঈদের আনন্দের অংশীদার হতে পারে। আমরা এমন এক সময় ঈদ করতে যাচ্ছি, যখন বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যিনি জনগণের সুখ-দুঃখে সবসময় তাদের পাশে থাকেন, দেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়নে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আসুন, আমরা সকলে দোয়া করি-আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যেন দেশনেত্রীকে দ্রুত সুস্থ করে দেন এবং রোগ ও কারামুক্ত হয়ে দেশ ও জাতিকে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হন।

করোনা ভাইরাসের মহামারিতে এখন বিশ্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরাজ করছে নিরানন্দ, ভয় ও আতঙ্ক। এই অদৃশ্য আততায়ী করোনার কবল থেকে মানুষকে রক্ষা করতে আমি কায়মনোবাক্যে মহান রাব্বুল আলামীনের নিকট দোয়া করি।
আজকে এই পবিত্র দিনে বাংলাদেশের প্রতিটি গৃহে প্রবাহিত হোক শান্তির অমীয় ধারা। পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনে আমি এই কামনা করি।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”

স্বাস্থ্যবিধি