দেশে কেউ মুখ ফুটে কথা বলতে পারে না : রিজভী

আপডেট: এপ্রিল ২০, ২০২২
0

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশে কেউ মুখ ফুটে কথা বলতে পারে না। যে কেউ যে কোনো দেশ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললে তার মা, বোন, পরিবারের সদস্যদের কারাগারে যেতে হবে। এটা হিটলার, মুসোলিনির (ইতালির সাবেক ফ্যাসিবাদী স্বৈরশাসক) পদ্ধতি। ভয়ঙ্কর দুর্দিনে বসবাস করতে হচ্ছে। সরকার ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে এক দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। এগ্রিকালচারিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এ্যাব) উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে এই দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় তিনি আরো বলেন, ইলিয়াস আলীর গুমের সাথে সেনাবাহিনীর জড়িত থাকার কথা উঠে এসেছে। সরকার গুমের কথা স্বীকার করে না। স্বীকার করলে নিউজের পর ব্যবস্থা নিতো।

অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, দেশের জিডিপিতে বড় একটি অবদান কৃষিখাত। কিন্তু এটা সত্য, দেশ ক্রমশ উন্নতির দিকে গেলে কৃষির অবদান কিছুটা কমে আসে। কিন্তু আমরা এখনো সেদিকে পৌঁছাতে পারিনি। আজ থেকে ১৫–২০ বছর আগেও জিডিপির ৩৩ শতাংশ কৃষি খাত থেকে আসতো।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিভিন্নভাবে খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণে কৃষির সাথে জড়িত। কিন্তু এখনো জিডিপিতে এ অংশ উল্লেখযোগ্য না। একরপ্রতি খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিকরা, এটাই কৃষিতে উন্নতির মূলমন্ত্র। সারা বিশ্বে একরপ্রতি জাপান কৃষি উৎপাদন সর্বোচ্চ। জাপানে এক হেক্টরে যে পরিমাণ ফসল উৎপাদিত হয়, বাংলাদেশে তার এক চতুর্থাংশ হয় না। আমরা এটা চার থেকে পাঁচ গুণ বাড়াতে পারি।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের সরকারের খাদ্যমন্ত্রী আব্দুল মোমেন খান থাকাকালীন প্রথমবারের মতো বিদেশে খাদ্য রফতানি হয়। আধুনিক চাষাবাদ ব্যবস্থা গড়তে হবে।

সংগঠনের আহ্বায়ক কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ড. জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা: ফরহাদ হালিম ডোনার, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, কাদের গণি চৌধুরী, আ ক ম মোজাম্মেল হক, এ্যাবের নেতা কৃষিবিদ শফিউল আলম দিদার, ড. শফিকুল ইসলাম, নূরুন্নবী ভুইয়া শ্যামল, আকিকুল ইসলাম আকিক, আনিস, কামরুজ্জামান জনি, সাইদুজ্জামান মানিক, ইয়ার মাহমুদ, ফেরদৌস হাওলাদার, সানোয়ার আলম রনিসহ শতাধিক নেতাকর্মী।