দেশে স্বৈরতন্ত্র চলছে, ভারতের কণ্ঠস্বর গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে– রাহুল গান্ধীর প্রতিক্রিয়া

আপডেট: অক্টোবর ৬, ২০২১
0

ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী এমপি বিজেপিকে টার্গেট করে বলেছেন, দেশে স্বৈরতন্ত্র চলছে, ভারতের কণ্ঠস্বর গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি আজ (বুধবার) রাজধানী দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই মন্তব্য করেন।

বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরিতে গত রোববার কৃষকদের বিক্ষোভের সময়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্রের বিরুদ্ধে গাড়ি চাপা দিয়ে ৪ কৃষককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত সহিংসতায় আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়। মন্ত্রী অজয় মিশ্র অবশ্য তার ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদী কৃষকরা বিভিন্ন রাজ্যে একটানা বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন।

উত্তর প্রদেশের লখিমপুরের খেরিতে সহিংসতার বিষয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, উত্তর প্রদেশে কৃষকদের পিষ্ট করা হচ্ছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

রাহুল বলেন, ‘কিছুদিন ধরে ভারতের কৃষকদের উপরে সরকারের আক্রমণ হচ্ছে। গাড়ির নীচে কৃষকদের পিষ্ট করা হচ্ছে, তাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে। বিজেপি’র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা বলা হচ্ছে, তার ছেলের কথা বলা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। দেশজুড়ে কৃষকরা একের পর এক আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। তিনটি কৃষি আইন বিল আনার মাধ্যমে তাদের অধিকার হরণ করা হচ্ছে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী লক্ষনৌতে ছিলেন, কিন্তু লখিমপুর খেরিতে যেতে পারেননি। মৃত কৃষকদের ময়নাতদন্ত সঠিকভাবে হচ্ছে না।’
আজ (বুধবার) রাজধানী দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে রাহুল গান্ধী

গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে রাহুল বলেন, ‘অপরাধীরা উত্তর প্রদেশে অবাধ ছাড় পেয়েছে। আমাদের বিরোধী দলের কাজ হলো চাপ সৃষ্টি করা, তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সরকার চায় না যে আমরা তাদের ওপরে চাপ সৃষ্টি করি। সত্যি কথা বলতে, এই কাজটি আপনাদের, কিন্তু আপনারা নিজেদের দায়িত্ব পালন করেন না, আপনারা এটি ভুলে গেছেন।’

রাহুল গান্ধী বলেন, ‘দেশের কাঠামো বিজেপি এবং আরএসএস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। এটা শুধু মিডিয়ার কথা নয়। আপনারা জানেন যে মিডিয়াকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, একইভাবে দেশের সকল প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। আজ দেশে স্বৈরতন্ত্র চলছে।’

রাহুল বলেন, ‘প্রিয়াঙ্কা হোক, আমি হোক বা আমাদের পরিবারে যেই হোক না কেন, আমরা টানাহেঁচড়াকে গুরুত্ব দিই না। আমাদের মেরে ফেলো, কেটে ফেলো, আমরা গুরুত্ব দিই না। এটি আমাদের বহুবছরের প্রশিক্ষণ। এটা আমাদের পরিবারের প্রশিক্ষণ। ভারতের কণ্ঠস্বর চূর্ণ করা হচ্ছে। আমি ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের দুঃখ শেয়ার করতে চাই। সেখানে গিয়ে আমি প্রকৃত বাস্তবতা জানতে চাই। প্রকৃত বাস্তবতা এখনও কেউ জানে না।’

উত্তর প্রদেশের খেরিতে আজ রাহুলের সঙ্গে যাওয়ার কথা রয়েছে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নী, ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, কংগ্রেস নেতা কেসি ভেনুগোপাল এবং শচীন পাইলটের। কিন্তু রাজ্যের যোগি আদিত্যনাথ সরকার এখনও রাহুল গান্ধীসহ ওই নেতাদের সফরের অনুমতি দেয়নি। #