ধরলা ও দুধকুমারের পানি বিপদসীমার উপরে আতঙ্কে চরাঞ্চলের মানুষ

আপডেট: জুন ৩০, ২০২২
0

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
এক সপ্তাহ ধরে থাকা বন‌্যার ধকল সামলে উঠতে না উঠতেই উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের সবকটি নদনদীর পানি আবার বাড়তে শুরু করেছে। এতে করে ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ২৮ সেন্টিমিটার ও সদর উপজেলার ধরলা সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ও পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাড়তে শুরু করেছে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তাসহ সবকটি নদনদীর পানি। এতে নদ নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে আবারও বন্যার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজন।

জেলা সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের জগমনের চরের জয়নাল বলেন, ধরলার পানি আবারও বাড়ছে। এতে করে পানি নীচু এলাকা গুলো প্লাবিত হয়েছে। এতে করে আমরা আবারও বন্যার আতঙ্কে আছি।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের খেয়ারচরের ছকমল মোল্লা জানান, আবারও নদীর পানি বেড়ে চরের দিকে আসছে।

বুধবার (২৯ জুন) সন্ধ্যা ৬ টার রিপোর্টে কুড়িগ্রাম
পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্র জানিয়েছে, ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ২৮ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বিপৎসীমার নীচে রয়ে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পানি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে সদরের সেতু পয়েন্ট ও শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে এসব নদনদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে বন‌্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও অনান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধিও অব্যাহত রয়েছে।
এবিষয়ে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোঃ রেজাউল কর বলেন, বন্যা কবলিত মানুষের জন্য যথেষ্ট ত্রান ব্যবস্থা রয়েছে। বানভাসি মানুষের প্রতি সরকারের সুদৃষ্টিও রযেছে।
####/