ধর্মপ্রাণ হাশিম আমলাকে মদ্যপানের জন্য জোরাজুরি করা হতো!

আপডেট: নভেম্বর ২০, ২০২১
0

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ক্রিকেটার আজিম রফিকের বিস্ফোরক বক্তব্যের পরে ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেট আপাতত বর্ণবিদ্বেষ বিতর্কে উত্তাল। আজিম রফিক মুখ খোলার পরে একাধিক ক্রিকেটার প্রকাশ্যে বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে সরব হয়েছেন। এর মধ্যেই বিতর্ক বাড়িয়ে এবার মুখ খুললেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার টিনো বেস্ট।

২০১০-এ ইয়র্কশায়ারে আজিম রফিকের সাথেই খেলেছেন ক্যারিবীয় পেসার। তিনি জানাচ্ছেন, কাউন্টিতে মদ্যপানের রীতির জন্য অনেক এশীয় ক্রিকেটার সেভাবে দলের পরিবেশে অভ্যস্ত হতে পারেন না। এই প্রসঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা ব্যাটসম্যান হাশিম আমলাকে জোর করে মদ্যপান করানো হয়েছিল।

স্কাই স্পোর্টস-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে টিনো বেস্ট জানিয়েছেন, ‘হাশিম আমলাকে একবার এক ব্যক্তি টানা তিন-চার ঘণ্টা ধরে জোরাজুরি করছিল। প্রত্যেক মিনিটেই সেই ব্যক্তি এটা-ওটা পান করানোর জন্য নাছোড় হয়ে পড়ছিলেন। আর হাশিম বরাবরের মতো বিনয়ী হয়ে বলছিল, স্যার আমি পান করি না। তা সত্ত্বেও সেই ব্যক্তি থামার কোনো লক্ষণই দেখাচ্ছিলেন না। আমি তখন বলতে বাধ্য হই- হাশিম একজন মুসলিম। ও পান করে না। প্লিজ তুমি এই জোরাজুরি বন্ধ করো। আমি আর সহ্য করতে পারছি না।’

হাশিম আমলা বরাবর ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি হিসেবে ক্রিকেট সার্কিটে পরিচিত। দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় দলের হয়ে খেলার সময় জার্সিতে মদ্যপানীয়ের এন্ডোর্সমেন্টেও রাজি হননি। বেস্ট ওই ঘটনা প্রকাশ করে জানালেন, কিভাবে এশীয় এবং এশীয় বংশোদ্ভূতরা ইংরেজ ক্রিকেট সংস্কৃতিতে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে পারেন না।

বেস্ট বিবিসি স্পোর্টস-কে আরো জানিয়েছেন, ‘ইংরেজদের ক্রিকেট সংস্কৃতি পুরোটাই মদ্যপানকে কেন্দ্র করে। দলের অংশ হওয়ার জন্য কাউকে ক্লাবহাউসে গিয়ে ৮-৯ পেগ মদ্যপান করতে বাধ্য করা উচিত নয়। যদি কেউ এই পানীয় সংস্কৃতিতে স্বচ্ছন্দ বোধ না করে, তাহলে বকলমে সে দলের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এটা বর্ণবিদ্বেষ ঘটনাকে আরো প্রভাবিত করছে।’

‘আমি কৃষ্ণাঙ্গ হওয়া সত্ত্বেও দলের অংশ হতে চাইতাম। তারা বাকিদের সম্পর্কে যা বলত, তা এখনো শুনলে অবাক হতে হয়’ বলেছেন বেস্ট।

সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস