নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবায় বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্য‌ দুইটি এ্যাম্বুলেন্স এবং একটি লাশবাহী গাড়ি দিলেন মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম

আপডেট: মে ৩, ২০২১
0

ঢাকা: ০৩ মে, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ; রোজ- সোমবার:

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্য‌ “ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল” এ দেয়া হলো অত্যাধুনিক দুইটি এ্যাম্বুলেন্স এবং একটি লাশবাহী গাড়ি।
আজ ০৩ মে, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ রোজ- সোমবার সকালে রাজধানীর মহাখালীতে ডিএনসিসি মেয়র এর সৌজন্যে দেশের সর্ববৃহৎ “ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল” এর পরিচালকের নিকট চাবিসহ দুইটি এ্যাম্বুলেন্স এবং একটি লাশবাহী গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, হস্তান্তরকৃত দুইটি এ্যাম্বুলেন্স এবং একটি লাশবাহী গাড়ির ড্রাইভার ও জ্বালানিসহ প্রয়োজনীয় সকল কিছুই ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে সরবরাহ করা হবে, শুধুমাত্র অপারেশনাল ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন হাসপাতালের পরিচালক।
তিনি বলেন, গত বছর দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকলে মহাখালীতে এক হাজার শয্যার যে আইসোলেশন সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছিল ৯ই অগাস্ট সেটি পরিদর্শন করতে এসে এই মার্কেটটিকে হাসপাতালে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
ডিএনসিসির মেয়র বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সার্বিক দিকনির্দেশনা ও আন্তরিক সহযোগিতার ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই হাসপাতালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হয়েছে।
মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, এই হাসপাতালের জমি, ভবন, বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। নগরবাসীর স্বাস্থ্য সেবার জন্যই সাত দশমিক এক সাত একর জমিতে তৈরি ডিএনসিসির একটি বিপণীবিতানকে “ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল” এ রূপান্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই ভবনটি মার্কেটের জন্যই করা হয়েছিল। এখানে ২৫৮ টি দোকান বরাদ্দও দেয়া হয়েছিল। বোর্ড মিটিংয়ের মাধ্যমে তাদের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। এমনকি দুই শতাধিক মালিকের সাথে নিজে কথা বলে তাদেরকে বুঝাতে হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকের টাকাও ফেরত দেওয়া হয়েছে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, বিপদের সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য‌ই মার্কেটটিকে হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছে। যার আয়তন এক লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট। বর্তমান হারে প্রত্যেক মাসে এর ভাড়ার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা, এই ভাড়ার টাকাও ডিএনসিসিকে দেয়া লাগবেনা।
মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, এই হাসপাতালের জমি, ভবন, বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা করেছে ডিএনসিসি। মহামারী চলাকালীন এটি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেবে। মহামারী শেষ হলে এটি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের জেনারেল হাসপাতাল হিসেবে পরিচালিত হবে, যেখানে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনার ইন্ডিয়ান ভেরিয়েন্ট যাতে বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে সেদিকে আমাদের সকলকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।
উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ডিএনসিসির মেয়র বলেন, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও শপিংমলসমূহ পরিচালনা করতে হবে, অন্যথায় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডাক্তার আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বক্তৃতা করেন।