নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি কোন্দলে দিশেহারা

আপডেট: মে ১১, ২০২১
0

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ : অভ্যন্তরিন কোন্দলে দিশেহারা নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। জেলায় দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার জন্য নতুন করে ৪১ নেতার একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হলেও এই কমিটি সম্পূর্ণ ব্যর্থ। দলের ভেতর তৈরী হয়েছে উপদল। গঠন করা হয়েছে সিন্ডিকেট।

চলছে উপদলীয় কোন্দল। যার ফলে দিনে দিনে আরো নাজুক অবস্থায় পতিত হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি।
বিএনপির নেতাকর্মীরা জানিয়েছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির রাজনীতিতে তিন নেতার সিন্ডিকেট এই দলের বিপর্যয়ের আরো একটি কারন। এরা হলেন, সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য জাহিদ হাসান রোজেল এবং পান্না মোল্লা।

এরা দলের ভেতর উপদল গঠন করে সব কিছু নিয়ন্ত্রন করতে চাইছেন। এই তিন নেতা অনেক বিষয়ে দলের অন্য সব নেতাকে পাশ কাটিয়ে অনেক স্বিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। ফলে একদিকে যেমন এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার দলটির আগে বাড়ার পথে অন্তরায় হয়ে দাড়িয়েছেন, এদিকে তেমনি এই তিন নেতাও দলের অগ্রগতিতে বাধার সৃষ্টি করছেন। মঙ্গলবার (১১ মে) এই তিন নেতার সিন্ডিকেট নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেন জেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা। অথচ এই তিন নেতার মাঝে একমাত্র মামুন মাহমুদ ছাড়া বাকী দুইজনের রাজনৈতিক কোনো ক্যারিশমা নেই, নেই রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড এবং কোনো কর্মী বাহিনী। তারপরেও কেবল মাত্র তাদের নেপথ্যে এক শিল্পপতি প্রভাবের কারনে এই দুই জনকে নিয়ে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন মামুন মাহমুদ। সিন্ডিকেট ভুক্ত এই তিন নেতার মাঝে কেবল মাত্র মামুন মাহমুদের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রান্ড রয়েছে। তিনি জেলা যুবদলের সভাপতি ছিলেন এবং তখন থেকেই জেলা ব্যাপী যেমনই হোক তার একটি কর্মী বাহিনী রয়েছে। কিন্তু জাহিদ হাসান রোজেলের তেমন কিছু নেই। তিনি জেলা ছাত্রদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের গুরুতপূর্ণ পদে ছিলেন অথচ তিনি এই জেলায় একজন কর্মীও তৈরী করতে পারেননি।

ফলে এখন তিনি ওয়ান ম্যান শো রাজনীতি করছেন। গত কয়েক বছর ধরে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে তার কোনো গুরুত্ব নেই বলেই জানেন দলের সবাই। কিন্তু মাতাব্বুরি করতে ছাড়ছে না। ফলে দলে বিচ্ছৃংখলার সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে পান্না মোল্লাতো কোনো রাজনীতিবিদই নন। তিনি একজন ব্যাবসায়ী পরিবারের সদস্য তাই সুবিধাবাদী এক নেতা এই পান্না মোল্লা। শুধু তাই নয় পান্নার পরিবারে তার এক ভাই এক দলের রাজনীতি করেন। তাই পারিবারিক রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

তবে পান্না জেলা বিএনপি থেকে পদত্যাগী নেতা শাহআলমের আবিস্কার। তার কোনো রাজনৈতি প্রজ্ঞা বা দূরদৃষ্টি থাকাতো দূরের কথা দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নূন্যতম কোনো সম্পর্ক নেই। তাই এমন একজন নেতা যখন দলের সদস্য সচিবের সাথে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেন তখন এই দলের ভবিষ্যৎ যে কি হবে সেটা সহজেই অনুমান করা যায়।
অপরদিকে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৪১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি রয়েছে। তাই এই কমিটির অন্য সদস্যরা এই ধরনের সিন্ডিকেট মোটেও ভালো চোখে দেখছেন না।

ফলে এরই মাঝে বিরাজ করছে চরম বিচ্ছৃংখলা। একদিকে এড: তৈমুর আলম দলের অন্য নেতাদের কোনো স্বিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দেন না আবার মামুনের নেতৃত্বে তিন নেতার সিন্ডিকেট নতুন করে বিচ্ছৃংখলার সৃষ্টি করছে। ফলে এসব কারনে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ঐক্য বিনষ্ঠ হচ্ছে। চরম বিচ্ছৃংখলা হচ্ছে দলের মাঝে। কারন এই তিন নেতার সিন্ডিকেট জেলা বিএনপির সাবেক নেতা শিল্পপতি শাহআলমের সাথে কথা বলে এই সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন বলে জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।