নারী-শিশু পাচারে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হয় না: বিজিবির মহাপরিচালক

আপডেট: জুন ২৪, ২০২১
0

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেছেন, নারী ও শিশু পাচারে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হয় না। নারী-শিশু পাচার ও মাদকের বিরুদ্ধে বিজিবির জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। এমনকি নারী পাচার সংক্রান্ত ঘটনায় কারও কোনো সুপারিশ বিজিবি পাত্তা দেয় না।

রাজধানীর গুলশানে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ‘সীমান্ত ব্যাংক’-এর ১৯তম শাখা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বিজিবির মহাপরিচালক আরও বলেন, সাতক্ষীরায় নারী পাচারের অভিযোগে এক নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলরের স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে ধরতে আমরা প্রতিদিনই তাঁর বাসায় হানা দিই। কিন্তু, তিনি বাসায় নেই। এ বিষয়ে পুলিশকেও জানিয়েছি। পুলিশ-বিজিবি একই মন্ত্রণালয়ের কাজ করে এবং পরস্পরের সহযোগিতায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষাসহ সীমান্তেও আমরা কাজ করছি।

মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম আরও বলেন, নারী পাচার রোধে মিডিয়ার একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। নারী পাচার রোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। কেউ যেন প্রলোভনে পড়ে নারী পাচারের শিকার না হয়, সেদিকে সমাজের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। মিডিয়া ও জনগণের সহযোগিতা ছাড়া বিজিবির একার পক্ষে পাচার রোধ করা সম্ভব না।

সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেড এর ১৯তম শাখা হিসেবে গুলশান শাখার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর সম্মানিত মহাপরিচালক ও সীমান্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ সাফিনুল ইসলাম, বিজিবিএম (বার), এনডিসি, পিএসসি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মুখলেসুর রহমান। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর সম্মানিত মহাপরিচালক ও সীমান্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান তাঁর বক্তব্যে দেশের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলসমূহে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। উন্নত গ্রাহকসেবা এবং সময়োপযোগী বিভিন্ন স্কিম এর মাধ্যমে সীমান্ত ব্যাংক সামনে এগিয়ে যাচ্ছে, যা বক্তাদের বক্তব্যে উঠে আসে।

গ্রাহকদের চাহিদা বিবেচনায় সীমান্ত ব্যাংক রিটেইল ব্যাংকিং এর বিভিন্ন সেবা যেমন পার্সোনাল লোন, হোমলোন, কারলোন, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের জন্য এস.এম.ই লোন, কৃষকদের জন্য জামানতবিহীন কৃষিঋণ, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য জামানতবিহীন ”নারীশক্তি” ঋণ, শিক্ষার্থীদের অনলাইন শিক্ষা উপকরনের জন্য প্রযুক্তি ঋণ, ইত্যাদি নানা ধরনের সেবা চালু করেছে।
এছাড়া সীমান্ত ব্যাংক ইতিমধ্যে ক্রেডিট কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, RTGS, BFTN এবং রেমিটেন্স সেবাসহ নানা রকম আধুনিক সেবা চালু করেছে।

প্রসঙ্গত, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর সীমান্ত ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষনা করেন। একই বছরের ০৯ অক্টোবর ধানমন্ডির পিলখানায় প্রধান শাখার মাধ্যমে সীমান্ত ব্যাংক ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। রাজধানীতে এটি সীমান্ত ব্যাংকের ৫ম শাখা। ময়মনসিংহ, চট্রগ্রাম, সাতকানিয়া, বেনাপোল, লালমনিরহাট, বিবিরবাজার, সিডস্টোর (ভালুকা), কক্সবাজার, টেকনাফ, চম্পকনগর (বি,বাড়িয়া), সিলেট ও প্রাগপুরে (কুষ্টিয়া), খুলনা, গদখালী (যশোর) সীমান্ত ব্যাংক ইতিমধ্যে শাখা স্থাপন করেছে। কক্সবাজারের রামু এবং খুলনায় ব্যাংকের আরো দুটি উপশাখা স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে।