মোনাজাতের পরে বোতাম টিপে পদ্মাসেতুর নামফলক উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । এর আগে তিনি টোল দিয়ে সেতু পার হয়ে মাওয়া পয়েন্টের উদ্বোধনী মঞ্চে যান । প্রধানমন্ত্রীর গাড়িটি পদ্মাসেতুর প্রথম টোল প্রদান করেন। শেখ হাসিনা নিজ হাতে এই টোল পরিশোধ করেন। তার গাড়ি বহরের অন্যান্য গাড়িগুলোও একে একে টোল পরিশোধ করে উদ্বোধনী মঞ্চের দিকে যায়। আজ শনিবার (২৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর সেখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন প্রধানমন্ত্রী। তার সাথে ছিলেন কন্যা সায়মা ওয়াজেদ। তিনি সেখানে তার ছোট বোন শেখ রেহানার সাথে ভিডিও কলে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী এরপর জাজিরা পয়েন্টের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। তার নিরাপত্তার জন্য আকাশ পথে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ৫ টি যুদ্ধ বিমান ও দু’টি হেলিকপ্টার মহড়া দেয়। ১২ টা ১০ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ীবহর মূল সেতুতে ওঠে।
পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। এ সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। গুরুত্বপূর্ণ এ সেতু রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বড় শহরের সঙ্গে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সড়ক এবং রেল যোগাযোগ স্থাপন করবে। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ থেকে শুরু করে নানা কারণে ব্যাপক আলোচিত এ সেতু বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহের মধ্যে দিয়ে আজ বাস্তবায়ন হলো।
এর আগে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু শুধু ইট-সিমেন্ট-স্টিল-লোহার কংক্রিটের একটি অবকাঠামো নয়, এ সেতু আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব, আমাদের সক্ষমতা আর মর্যাদার প্রতীক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ আমার সাহসের ঠিকানা। এ সাহস নিয়েই পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। জাতির পিতা বলেছিলেন, আমার মাটি আছে, মানুষ আছে। আমরা সেই মানুষের সহযোগিতায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি।