নীলফামারীতে বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে চতুর্থ রাউন্ড জলাতঙ্ক টিকাদান কর্মসূচি

আপডেট: মে ৫, ২০২১
0

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীতে শুরু হচ্ছে চতুর্থ রাউন্ড জলাতঙ্ক (এমডিভি) রোগের প্রতিশোধক টিকা প্রয়োগ কর্মসূচি। বৃহম্পতিবার ৬ মে শুরু হয়ে ১০ মে পর্যন্ত চলবে। জেলার ছয় উপজেলায় ২৫ হাজার কুকুরকে ওই টিকা প্রয়োগ করা হবে। এর মধ্যে সদরে ৫ হাজার, ডোমারে ৪ হাজার, ডিমলায় ৪ হাজার, জলঢাকায় ৪ হাজার, কিশোরগঞ্জে ৪ হাজার ও সৈয়দপুরে ৪ হাজার কুকুরকে ওই টিকা প্রয়োগ করা হবে।

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাশেবুল হোসেন জানান, জলাতঙ্ক একটি মরণব্যাধি রোগ, এই রোগে মৃত্যুর হার শতভাগ।

তিনি জানান, জলাতঙ্ক রোগটি মূলত কুকুর, বিড়াল, শিয়াল, বেজী, বানরের কামড় বা আচঁড়ের মাধ্যমে হতে পারে। দেশে প্রতিবছরে ৫৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় এই জলাতঙ্ক রোগে। আর প্রায় ৬ লক্ষ মানুষ ওইসব প্রাণীর আচঁড়ের শিকার হয়ে থাকে। যার মধ্যে অধিকাংশই শিশু রোগি। এছাড়া প্রায় ২৫ হাজার গবাদি পশুও এই রোগের শিকার হয়।

২০১০ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও প্রাণী সম্পাদ মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ এবং নির্মূল কর্মসূচি বাস্তবায়ন চলছে। এরই প্রেক্ষিতে প্রতিটি জেলায় জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে আক্রান্ত রোগিদের বিনামূল্যে জলাতঙ্কের টিকা সরবরাহ করা হচ্ছে।

এছাড়াও ২০১১ সালে পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে কুকুরকে জলাতঙ্ক টিকা প্রয়োগ কর্মসূচি চালু হয়। ওই প্রকল্পটি স্থায়ীকরণ করে ২০১৫ সাল থেকে সারাদেশে প্রত্যেক জেলায় ব্যাপকহারে কুকুরের দেহে জলাতঙ্ক টিকা প্রয়োগ কর্মসূচি চালু করা হয়।

এ যাবত সারাদেশে প্রত্যেক উপজেলায় ১ম রাউন্ড ও ১০টি জেলার প্রতিটি উপজেলায় ২য় রাউন্ড এবং সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা ও নীলফামারীর প্রতিটি উপজেলায় ৩য় রাউন্ড টিকাদান কর্মসূচির আওতায় ১৯ লক্ষ ২১ হাজার কুকুরকে জলাতঙ্ক প্রতিরোধক টিকা প্রদান করা হয়েছে।

জেলায় চতুর্থ রাউন্ড টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। এই রাউন্ডে মোট ২৫ হাজার কুকুরকে টিকা প্রয়োগ করা হবে। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে ১৭৩টি টীম কাজ করবে। এরমধ্যে নীলফামারী সদরে ৪১, সৈয়দপুরে ৩০, ডোমারে ২২, ডিমলায় ২৭, জলঢাকায় ২৭টি এবং কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ২৬টি দল কাজ করবে।

প্রতিটি টিমে ছয় জন করে সদস্য থাকবেন। এরমধ্যে কুকুর ধরার জন্য দুই জন দক্ষ ক্যাচার, একজন স্থানীয় ক্যাচার, একজন টিকাদানকারী, একজন তথ্য সংগ্রহকারী, একজন ভ্যান চালক।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মোনাক্কা আলী জানান, শুরু হচ্ছে চতুর্থ রাউন্ড জলাতঙ্ক প্রতিরোধক টিকা প্রয়োগ কর্মসূচি। জেলায় ২৫ হাজার কুকুরকে এই টিকা প্রয়োগ করা হবে। এটি চলবে ৬ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত।