পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের উপর হামলায় বিএনপি-জামায়াত দায়ী : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট: মার্চ ৬, ২০২৩
0
home file photo

পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসায় হামলার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আহমদনগর এলাকায় কয়েক হাজার কাদিয়ানী ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বসবাস। প্রতিবারই তারা দু‘দিনব্যাপী একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান করে। এবারও সেই অনুষ্ঠান করতে যাওয়ায় তাদের ওপর জামায়াতে ইসলামীর অ্যাকটিভিস্ট ও বিএনপি নেতারা একসাথে জড়িত হয়ে তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে তাদের ঘরবাড়িতে আগুন ধরায়। যেখানে অনুষ্ঠান হচ্ছিল, সেখানেও আগুন ধরায়।

তিনি বলেন, ‘এতে একজন কাদিয়ানী সদস্য মারা যায়। মারামারি করতে গিয়ে একজন জামায়াতের সদস্যও আহত হয়ে মারা যায়। এ নিয়ে সাতটি মামলা হয়েছে। ৮১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বিএনপি নেতা ফজলে রাব্বি আছেন। তিনি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে সমাবেশটি বন্ধ করতে আসছিলেন। ঘটনাগুলোর নেপথ্যে তিনিও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।’

সোমবার (৬ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, সেখানে র‌্যাবের এক সদস্যও আহত হয়েছেন। তার মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে। র‌্যাবের একটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী মারাত্মক ধৈর্যের সাথে সেটি মোকাবিলা করেছে। সেখানকার পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক আছে। যারাই মামলা দিচ্ছে, মামলা নেয়া হচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এবার তারা এতটা মারমুখী কেন হয়েছিল, আমরা তা তদন্ত করে দেখছি। পুলিশের কোনো ব্যর্থতা আছে কিনা; সেটাও আমরা দেখছি। আমাদের কোনো ব্যর্থতা থাকলে আমরা দেখছি, সেটি নিয়ে এরইমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোনো গাফিলতি থাকলে আমরা অবশ্যই দেখবো, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

এর আগে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লাগার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে ভয়াবহ আগুনে কোনো নাশকতা ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছে সরকার।

মন্ত্রী বলেন, দেখুন এটি কোনো নাশকতা কিনা, ষড়যন্ত্র কিনা; সেটি আমরা দেখছি। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তারা সিলিন্ডারে রান্নাবান্না করেন। সেখানে পাশেই আমাদের সাতটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। অস্থায়ী ক্যাম্পগুলোতে আগুন লাগলে নিমিষেই শেষ হয়ে যায়। ঘটনাটি ওই রকমই ঘটেছে।

তিনি আরো বলেন, ‘তবে কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা আমরা তদন্ত করছি। তাতে যদি কোনো নাশকতা, ষড়যন্ত্র কিংবা অন্য ধরনের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়, সেগুলো আমরা দেখবো। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। যারা গৃহহারা হয়েছেন, তাদের জন্য আপাতত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা ভাসানচরে বিশাল একটি ব্যবস্থা রেখেছি, যারা স্বেচ্ছায় যেতে চান, তাদের সেখানে নিয়ে যাচ্ছি।’

সূত্র : ইউএনবি