পটুয়াখালীতে রাতের আঁধারে পাচার হচ্ছে জাটকা, প্রশাসন নিরব

আপডেট: নভেম্বর ১০, ২০২১
0
jatka ilish

মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)
পটুয়াখালী জেলা প্রতনিধি :

পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার আশে পাশের নদী থেকে আগত ছোট ছোট নসিমন,টমটম,ট্রাক ও কাবার ভ্যানে রাতের আঁধারে প্রতিনিয়ত পাচার হচ্ছে জাটকা ইলিশ। শহর, বন্দর, হাট বাজারে চলছে জাটকা ইলিশ ক্রয়-বিক্রয়ের মহা উৎসব, আর এ উৎসবের সাথে সামিল হয়েছে খোদ জেলা ও উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তারা। সরজমিনে স্থানীয় হাট বাজার ঘুরে দেখা মিলে প্রকাশ্যে শারি শারি জাটকা ইলিশের দোকান ও জেলার সড়ক ও মহাসড়ক দিয়ে নসিমন, দূর পাল্লার পরিবহন এবং ট্রাক যোগে দিনে ও রাতে পাচার হচ্ছে জাটকা ইলিশ। এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা.মো,ইমদাদুল্লাহ বলেন লোক সংকট ও দ্রুততম যানবাহনের কারনে জাটকা পাচার কারবারিরা পার পেয়ে যাচ্ছে তবে জেলার নদী গুলোতে তাদের প্রতিনিয়ত নজরদ্বারি আছে।

তবে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা জেলার গলাচিপা, কলাপাড়া, দশমিনা, মহিপুর থেকে প্রতিদিন ও রাতের আঁধারে নানান প্রকার ছোট বড় পরিবহনের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ জাটকা ইলিশ পরিবহন ক্রয় বিক্রয় চোখে দেখার মত। বিগত বছরে প্রশাসনের তৎপরতায় জাটকা নিধন ও পরিবহন ছিল কষ্টসাধ্য বিষয় তবে এবার সে চিত্রটি অস্পষ্ট।

জেলার সকল উপজেলার নদ নদী ও মাছের আড়ৎ গুলো দিন হলে দেখা মিলে মাছের বড় বড় স্তর। অপরদিকে জেলা ও উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তারা বলছে নানান ধরনের আইনের নিতি কথা,দেখাচ্ছেন লোক বল ও যানবাহনের সংকট। বড় ইলিশ নিধনের কথা বলে কারেন্ট জাল ব্যবহার করে নদ নদীতে ধরা হচ্ছে ঝাকে ঝাকে জাটকা ইলিশ। জাটাকা আহরন ও পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা থেকে যাচ্ছে কাগজে আর কলমে,দেখ ভাল করার জন্য নিয়জিত কর্তাব্যক্তিরা এসকল বিষয়ে হঠাৎ সৃষ্টি সংকট দেখিয়ে পাশ কেটে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

সম্প্রতি গত ৭/১১/২১ইং তারিখ দিনগত রাত আনুমানিক ৮.২৫ মিনিটের সময় গলাচিপা থেকে আগত জাটকা বোঝাই কৃত ১টি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ন ১৪/১২০৩) নম্বরের একটি গাড়ির বিষয় স্থানীয় একাধিক গণমাধ্যমকর্মীরা স্থানীয় প্রশাসনের একাধিক দপ্তরে অবহিত করলেও অদৃশ্য কারণে সকল প্রশাসন নানান প্রকার অজুহাত দেখিয়ে যার যার অবস্থান থেকে এড়িয়ে জান।

সাধারণ মানুষ ও সুশীল সমাজ মনে করেন প্রকাশ্যে জাটাকা বিক্রয় এবং পাচার রোধ করা না হলে খুব শীগ্রই দেশে ইলিশ এর মহা সংকট দেখা দিবে, অদূর ভবিষ্যত ইলিশ হবে স্বপ্ন এবং কাল্পনিক তাই জাটকা নিধন ও পাচার, ক্রয়, বিক্রয় দ্রুত বন্ধ করতে হবে এবং এর উপর অর্পিত আইনের বাস্তবায়ন করতে হবে কঠোর হস্তে। জেলার একাধিক গন্যমান্য ব্যক্তিরা জেলার জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কর্তাকর্তাদের সু নজর দাবী করছেন তারা।