পটুয়াখালী’র মৌকরন ইউনিয়নে ভোট কারচুপি ও ফলাফল প্রাকাশের দাবীতে বিক্ষোভ -মানববন্ধন

আপডেট: জুন ২১, ২০২২
0

মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

গত ১৫ জুন ২০২২ ইং তারিখ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন নবগঠিত মৌকরন ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে ভোট কারচুপি ও পূনরায় ভোটের ফলাফল প্রকাশের দাবীতে চারজন মেম্বার প্রার্থীর বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

অদ্য মঙ্গলবার ২১শে জুন বেলা ১২ টার সময় পটুয়াখালীর মৌকরন ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের চারাবুনিয়া পূর্ব কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের পাকা সড়কে এ মানববন্ধন হয়।

উক্ত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মৌকরন ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মোরগ প্রতীকের প্রার্থী সাইদুল চৌকিদার ইউপি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। এই ওয়ার্ডে ফুটবল প্রতীকের পদ প্রার্থী আলমগীর ফকির ও আপেল প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হক’র সাথে জয়-পরাজয় হওয়ার কথা ছিলো। এছাড়াও বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম তিন নম্বরে থাকার কথা আর চতুর্থতে থাকার কথা তালা প্রতীকের প্রার্থী মাসুদ মোল্লার। এই চার জনের কেউ বিজয় হতে পারে নি। কিন্তু সাইদুল চৌকিদার নির্বাচনের মাঠেই ছিলো না। প্রচার প্রচারণা তো দূরের কথা। কিন্তু সাইদুল চৌকিদার প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে টাকার বিনিময়ে ইভিএমে ভোট কারচুপি করে জয়ী ঘোষণা করা হয়।

মানববন্ধনে উপস্থিতি ছিলেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী মোরগ প্রতীকের প্রার্থী সাইদুল চৌকিদার, ফুটবল প্রতীকের পদ প্রার্থী আলমগীর ফকির, বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম, তালা প্রতীকের প্রার্থী মাসুদ মোল্লা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ জনসাধারণ।

ফুটবল প্রতীকের পদ প্রার্থী আলমগীর ফকির বলেন, আমি ও আনোয়ার হক’র এই দুই জনের ভিতরে একজন নির্বাচিত হইতাম। কিন্ত কালো টাকার বিনিময়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোরগ প্রতীকের প্রার্থী সাইদুল চৌকিদারকে ইভিএমের ভোট কারচুপি করে জয়ী ঘোষনা করেছেন। আমরা কালো টাকার কাছে হেরে গেলাম।

বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই ওয়ার্ডে আমার রিজার্ভ ভোট ছিলো প্রায় ৫ শতাধিকের উপরে। কিন্তু প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সাহেব টাকার বিনিময়ে যার কোনো প্রচার প্রচারণায় নামই ছিলো না, তাকে জয়ী করেন। ভোট গগনার শেষে কেন্দ্রে বসে আমার এজেন্টরা রেজাল্ট সিট চেয়েছে কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। আমি বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকের ভোট পুনঃগগনার দাবি করছি।

মানববন্ধনের একপর্যায়ে কেঁদে ফেলেন আপেল প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হক প্রার্থী। তিনি বলেন, আমার বয়স হয়েছে। এটাই হয়তো জীবনের শেষ নির্বাচন। আমি জনগণের অনুরোধে নির্বাচন করেছি। জনগণ আমাকে ভোট দিলেও কারচুপির মাধ্যমে আমাকে পরাজিত করা হয়েছে।