পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে তুষার ধসে ১১ জনের মৃত্যু, আহত ২৫

আপডেট: মে ২৮, ২০২৩
0

পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় একটি প্রত্যন্ত এলাকায় তুষারধসে নারী ও শিশুসহ অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন। শনিবার ভোরে গিলগিট-বালতিস্তান প্রদেশের আস্তোর জেলায় তুষার ধসের এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছানো এবং উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। আস্তোর জেলার উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক তুফায়েল মীর জানান,উদ্ধার অভিযানের সুবিধার্থে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে লোকদের উদ্ধারের জন্য জেলায় একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে।

এছাড়া সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার এবং চিকিৎসকদের একটি দল, অ্যাম্বুলেন্স এবং উদ্ধারকারী দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। বরফের নিচে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে উদ্ধার কর্মকর্তা সুবাহ খান জানান, কাশ্মীর থেকে ফিরে আসা প্রায় ৩৫ জনের একটি যাযাবরের দল সেখানকার এক গিরিখাতের কাছে শিবির স্থাপন করেছিল। পরে শনিবার ভোরের দিকে তুষারধসের কারণে ওই দলের প্রায় ১১ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে চারজন নারী ও চার বছর বয়সী একটি শিশু রয়েছে।

এই তুষারধসের ঘটনায় তাদের প্রায় ১৫টি গবাদি পশুও মারা গেছে বলেও জানান ওই উদ্ধার কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন…স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবে পিটিআই

গিলগিট-বালতিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী ও জাতীয় পরিষদের স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফ তুষার ধসে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

সারা বিশ্বে ৮০০০ মিটার উচ্চতার ১৪ টি শৃঙ্গের মধ্যে পাঁচটি এই অঞ্চলে অবস্থিত। এগুলি ছাড়াও, গিলগিট-বালতিস্তানে ৭০০০ টিরও বেশি হিমবাহ রয়েছে এবং প্রায়শই এখানে তুষারপাত, ভূমিধস হয়ে থাকে।

২০১২ সালে গিলগিট-বালতিস্তানের স্কারদু জেলার প্রায় ৩০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে গায়রি এলাকায় ভয়াবহ তুষার ধসে কমপক্ষে ১২৯ পাকিস্তানি সেনা ও ১১ বেসামরিক লোক প্রাণ হারান।