পাক সুন্দরী গুপ্তচরের ফাঁদে ভারতীয় সেনা, অতঃপর…

আপডেট: মে ২২, ২০২২
0

পাকিস্তানের সুন্দরী এক নারী গুপ্তচরের ‘হানি ট্র্যাপের’ শিকার হলেন ভারতীয় এক সেনা সদস্য। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় মেয়েটির সঙ্গে চ্যাট করতেন। সম্পর্কের একপর্যায়ে তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ সামরিক তথ্য ফাঁস করেন বলে অভিযোগ——–
খবর এবিপি নিউজ।

মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের তথ্যের ভিত্তিতে রাজস্থান পুলিশ শনিবার (২১ মে) প্রদীপ কুমারকে (২৪) আটক করে। তিনি উত্তরাখণ্ডের রুরকি জেলার বাসিন্দা। যৌথ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেফতার করে তদন্তকারী সংস্থা। অভিযুক্ত প্রদীপ কুমারের বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, ১৯২৩-এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশের মহাপরিচালক (গোয়েন্দা) উমেশ মিশ্র বলেছেন, গ্রেফতার সেনা সদস্য প্রদীপ কুমার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাকিস্তানি এক নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। এর ইনপুট পাওয়ার পরে আমরা পর্যবেক্ষণ শুরু করি।

তিনি আরও বলেন, পর্যবেক্ষণ থেকে জানা যায়, প্রদীপ কুমারের পক্ষে কিছু তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাক গোয়েন্দা সংস্থাকে দেওয়া হচ্ছে। এক নারীর সঙ্গে এই তথ্য শেয়ার করা হচ্ছিল। তিনি একজন নারী পাক এজেন্ট হিসেবে ছদ্মবেশী সামরিক কর্মীদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

মাত্র ৬-৭ মাস আগে অভিযুক্তের মোবাইলে এক নারীর কল আসে, তারপর থেকেই দুজনের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়।

জানা যায়, ওই নারীর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট করতেন প্রদীপ। ভয়েস কল এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলতেন তারা। এই নারী প্রদীপ কুমারকে বলেছিলেন, তিনি মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের বাসিন্দা। তিনি নিজেকে বেঙ্গালুরুতে এমএনএস-এ পোস্ট করার কথা বলেছিলেন।

পরে ওই নারী এজেন্ট প্রদীপ কুমারকে দিল্লিতে দেখা করতে এবং বিয়ে করতে বাধ্য করেছিলেন। এরপর সেনাবাহিনীর গোপন নথির ছবি চাওয়া শুরু করেন ওই নারী। প্রদীপ কুমার গোপনে তার অফিস থেকে সেনাবাহিনী সম্পর্কিত একটি গোপন নথির ছবি তার মোবাইল থেকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সেই নারী এজেন্টের কাছে পাঠান।

এ নিয়ে প্রদীপকে ১৮ মে বিকেলে সেনা সদস্যদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। জয়পুরের জয়েন্ট ইনকোয়ারি সেন্টারে সব সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রদীপ কুমারকে গ্রেফতার করা হয়।

তিন বছর আগে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন প্রদীপ। প্রশিক্ষণ শেষে তাকে গানার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি যোধপুরের গুরুত্বপূর্ণ সেনা রেজিমেন্টের দায়িত্বে ছিলেন।