নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে তা বুঝতে পারছেন না গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দায়িত্বহীনতা চোখে পড়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও দাবি করেছে পুলিশের পক্ষপাতিত্ব আচরণে সংঘাত সংঘর্ষে রূপ নেয়।’
বুধবার (২০ এপ্রিল) ড. কামাল হোসেনের ৮৫তম জন্মদিন উপলক্ষে তার বেইলি রোডের বাসভবনে গণফোরামের একাংশের নেতারা তাকে শুভেচ্ছা জানাতে গেলে এসব কথা বলেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় একজন পথচারীর মৃত্যুসহ অর্ধ শতাধিক আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে কামাল হোসেন বলেন, ‘ঢাকা কলেজ ও নিউমার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থী বনাম ব্যবসায়ী যে সংঘর্ষ চলছে প্রশাসন কেন এটা নিবৃত্ত করছে না? ইতিমধ্যে আমি পত্রিকা খুব মনোযোগী হয়ে পড়েও বুঝতে পারছি না এত ব্যাপক সংঘর্ষ কীভাবে হলো? পুলিশের দায়িত্বহীনতা চোখে পড়ে। শিক্ষার্থীদের দাবি পুলিশের পক্ষপাতিত্ব আচরণে সংঘাত ব্যাপক সংঘর্ষে রূপ নেয়।’
তিনি বলেন, ‘আজকে দেশের কি অবস্থা? পত্রিকা খুললেই চারদিকে অরাজকতা, দুর্নীতি, বিচারহীনতা, অর্থ পাচার, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থার চরম অবনতি হয়েছে। এসব ঘটনা আমাকে খুবই ব্যথিত করে। জনগণ জান-মালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এই দুরবস্থা থেকে দেশের জনগণকে রক্ষা করতে হলে দেশের মালিক জনগণের ক্ষমতায়ন অতীব জরুরি। জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকারের কোনো বিকল্প নেই। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি সারা জীবন ঐক্যের কথা বলেছি, ঐক্য চেয়েছি আপনারা উদ্যোগ নিন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি কল্যাণমুখী বাংলাদেশ গড়তে যত দিন বেঁচে আছি আপনাদের পাশে থাকব।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি একেএম জগলুল হায়দার আফ্রিক, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক রওশন ইয়াজদানী (ঢাকা বিভাগ), তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু ও ছাত্র সম্পাদক সানজিদ রহমান শুভ।
