পুলিশ আগেই জানতো যে শাল্লায় হিন্দু পল্লীতে হামলা হবে ….সুরঞ্জন ঘোষ

আপডেট: মার্চ ২০, ২০২১
0
file photo

৯০’র ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাংবিধানিক অধিকার ফোরাম এর সভাপতি সুরঞ্জন ঘোষ দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লার নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু পল্লীতে হামলা বাড়ীঘর ভাঙচুর সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন। স্থানীয় প্রশাসন আগেই জানতো হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ীঘরে হামলা হবে। কিন্তু রক্ষামূলক ব্যবস্থা নেয় নাই। তাই এ হামলার দায় সরকার এড়াতে পারে না।

সুরঞ্জন ঘোষ আরো বলেন, স্থানীয় সন্ত্রাসীরা এ অঘটন ঘটানোর জন্য সুনামগঞ্জে আগে থেকেই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছিল। স্থানীয় প্রশাসন আওয়ামী লীগের নেতারা বিষয়টি জেনেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণে করে নাই। যে হিন্দু ছেলেটি ফেইসবুকে বিতর্কিত ষ্ট্যাটাস দিয়েছে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আইন মোতাবেক তার বিচার হবে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এ ছেলেটির কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা, মন্দির ভাঙচুর বাড়িঘর লুটপাট চালাতে পারে না। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বিদায় হজে¦র ভাষণে পরিষ্কার করে বলেছেন, এক ব্যক্তির কৃতকর্মের শাস্তি অন্য কেহ পাবে না। তাহলে শাল্লায় ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাইদের কাছে প্রশ্ন কি দোষ ছিল, নোয়াগাঁয়ে ৮০/৯০টি হিন্দু পরিবারের মানুষদের।

সুরঞ্জন ঘোষ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, হিন্দুরা এদেশে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠির স্পট-টার্গেট, কারণ হিন্দুদের উপর হামলা হলে হিন্দু নারী ধর্ষিতা হলে, হিন্দু মন্দির ভাঙলে বৌদ্ধ পল্লী জ¦ালিয়ে দিলে সংখ্যালঘুদের সম্পদের ক্ষতি করলে এদেশে শাস্তি হয় না। সে কারণে ২০১২ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কক্সবাজারে রামুতে ১২টি বৌদ্ধ বিহার ও ৩৪টি বসতঘর ভাঙচুর করে পরের দিন ৩০ সেপ্টেম্বর উখিয়া টেকনাফে ৭টি বৌদ্ধ বিহার ও হিন্দু মন্দিরে অগ্নি সংযোগ করে জ¦ালিয়ে দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে ৩০ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়ীয়া নাসিরনগরে অন্তঃত ১০টি মন্দির, শতাদিক হিন্দু বাড়ীতে হামলা চালায়। যার বিচার এখনো হয়নি। দেশে সংখ্যালঘুদের উপর বার বার হামলার বিচার না পাওয়ার জন্য বিচারহীনতার সংস্কৃতি দায়ী। আওয়ামী লীগই দেশে এই বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু করেছে।