প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলায় কনফিডেন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান রেজাউলের জামিন বাতিল

আপডেট: অক্টোবর ৩, ২০২২
0

বরিশাল প্রতিনিধি:

প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলায় কনফিডেন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল করিমের জামিন বাতিল করেছেন আদালত। গতকাল ০২ অক্টোবর (রবিবার) বরিশাল অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জামিন বাতিলের এ আদেশ প্রদান করেন। এর আগে প্রতারণা করে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা আদালতে হাজিরা দিলেও মামলার ১ নাম্বার আসামি কনফিডেন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল করিম আদালতে হাজিরা না দিলে আদালতের বিচারক তার জামিন বাতিলের নির্দেশ প্রদান করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ মার্চ ২২ইং তারিখে কনফিডেন্স গ্ৰুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল করিমসহ আট জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মামলা দায়ের করেন বরিশাল নগরীর রুপাতলী হাউজিং এস্টেটের বাসিন্দা মায়ের দোয়া ট্রেডার্সের প্রোপাইটর মোঃ এমদাদুল হক (সুরুজ মোল্লা)। যাহার সি.আর. কেস নং- ৪০২/২০২২(কোতয়ালী)।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরিশাল পওর বিভাগ, (বাপাউবো) বরিশাল এর আওতাধীন নদীর তীর সংরক্ষণ কাজে ব্লক বসানোর চুক্তিপত্রে কন্ট্রাক্টর হিসেবে জুডিয়াক ড্রেজিং লিঃ কনফিডেন্স গ্ৰুপ, কাওরান বাজার, ঢাকা থেকে কাজ পাইলে কোম্পানির মালিক পক্ষের কাছে থেকে এমদাদুল হক (সুরুজ মোল্লা)সাব কন্ট্রাক্টর এগ্ৰিমেন্ট ফর সিভিল ওয়ার্কাস এর মাধ্যমে প্রজেক্টের ৩০ কোটি টাকার কাজ করার জন্য ৮ এপ্রিল ২০১৯ইং তারিখে চুক্তিপত্র করেন। শর্ত মোতাবেক সিডিউল অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করলেও তাদের নিকট হতে বিভিন্ন তারিখে বিভিন্ন অংকের টাকা নিলেও সবর্শেষ হিসাবে ১৯ কোটি দশ লক্ষ বার হাজার বার টাকা পাওনা হয়। পরবর্তীতে ব্যাংকের মাধ্যমে ৬ কোটি বাহাত্তর লক্ষ টাকা এবং পাথরের দেয়া বাবদ ৮ কোটি কোটি বাদ দিয়ে ৪ কোটি আটত্রিশ লক্ষ বার হাজার বার টাকা বকেয়া থাকে। কিন্তু আসামীরা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং মায়ের দোয়া ট্রেডার্সের প্রোপাইটর মোঃ এমদাদুল হক (সুরুজ মোল্লা) কে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করেন। এই অভিযোগেই তিনি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে মামলার বাদী মোঃ এমদাদুল হক ( সুরুজ মোল্লা) জানান, কনফিডেন্স গ্ৰুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল করিমসহ অন্যান্য আসামিরা প্রতারনার মাধ্যমে কাজের বকেয়া বিল প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা আত্মসাত করে। এ ঘটনায় ন্যায়বিচার পাওয়ার আশায় আমি আদালতে মামলাটি দায়ের করেছি।