প্রতি বছর স্বাস্থ্যখাতে সরকার খরচ করছে ১২০ হাজার কোটি টাকা :ন্তিু জনগন সেবা পাচ্ছে না – বিশেষজ্ঞদের অভিমত

আপডেট: এপ্রিল ২, ২০২১
0

১২০ হাজার কোটি টাকা প্রতি বছর স্বাস্থ্য খাতে ব্যবহার হয়, কিন্তু সেই তুলনায় জনগন সেবা পায় না। পুরো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরিচালিত হচ্ছে অদক্ষ জনবল দ্বারা। তাদের কোন মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা নাই। একটি জাতীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা বোর্ড গঠন করা প্রয়োজন সেই সাথে তিনি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ক্যাডার থেকে বের করে আলাদা একটি প্রতিষ্ঠান করার আহ্বান জানান।

ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্ট এর উদ্যোগে আজ ২ এপ্রিল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে “স্বাধীনতার ৫০ বছরঃ স্বাস্থ্য ও পরিবেশ-আকাঙ্খা ও প্রাপ্তী” শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।

ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্ট এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম আবু সাঈদ এর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সম্পাদক ডা. দেবাশীষ গাঙ্গুলীর সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক ডা. মনিরুল ইসলাম, বিভাগীয় প্রধান, ফিজিক্যাল মেডিসিন, স্যার সলিমুল্লা মেডিকেল কলেজ, অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ, স্বাস্থ্য-অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আব্দুল্লাহ আল-নাঈম, প্রভাষক পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি।

সভায় বিশেষ বক্তব্য রাখেন ডক্টরস প্লাটফর্ম ফর পিপল’স হেলথ এর আহবায়ক এবং বিএমএ-এর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব, স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্ট এর যুগ্ম সম্পাদক ডা. এম এইচ ফারুকী এবং ধন্যবাদ বক্তব্য প্রদান করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. কাজী রকিবুল ইসলাম।

অধ্যাপক ডা. মনিরুল ইসলাম বলেন এখন দেশের প্রায় শতকরা ৬৫ ভাগ লোক নিজ খরচে নিজের চিকিৎসা ব্যয় বহন করছে। দেশের সেবা খাতকে স্বায়িত্ব শাসিত করা উচিত বলে তিনি মনে করেন। দেশে বানিজ্যিকিকরণের কারনে দেশে চিকিৎসার ব্যয় অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আরো বলেন বানিজ্যিকীকরণ বন্ধের জন্য সরকারী উদ্যোগে মনিটরিং এবং প্রয়োজনে সরকারী প্রনোদনা চালু করা উচিত। জরুরী মূহুত্বের চিকিৎসায় লাওয়ারীশ রোগীদের ক্ষেত্রে সরকারের মূখ্য ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।

অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে জেনারেল লাইনের লোক নিয়োগ না দিয়ে স্বাস্থ্যখাতে পেরামেডিক লোক নিয়োগ দেওয়া উচিত ছিল বলে তিনি মনে করেন। উপজেলা পর্যায়ে ডাক্তার স্বল্পতার জন্যই জৈটিল রোগ না হওয়ার কারনেও তারা আজ বিভাগীয় শহরগুলোতে ভীড় করছে।